AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘হিন্দু-মুসলমান আলাদা নয়, সকল ভারতীয়র ডিএনএ এক’, একতার বার্তা শোনালেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

RSS Chief Mohan Bhagwat: একইসঙ্গে গণপিটুনি নিয়েও এদিন কড়া বার্তা দেন আরএসএস প্রধান।

'হিন্দু-মুসলমান আলাদা নয়, সকল ভারতীয়র ডিএনএ এক', একতার বার্তা শোনালেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত
ছবি পিটিআই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2021 | 9:55 PM

নয়া দিল্লি: সর্বধর্মের সম্প্রীতির বার্তা শোনা গেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের গলায়। রবিবার গাজিয়াবাদে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভাগবত বলেন, এখানে হিন্দু বা মুসলমানের প্রাধান্য বলে কিছু নেই। গণতন্ত্রের ভারতে প্রত্যেকটি মানুষের ডিএনএ এক। পাশাপাশি আরএসএস প্রধানের কড়া বার্তা, গণপিটুনিতে যারা মদত দেয়, তারা হিন্দুত্বের বিরোধী।

আরএসএস দ্বারা অনুপ্রাণিত মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চের এক অনুষ্ঠানে এদিন যোগ দেন সংঘ প্রধান। সেখানেই তিনি বলেন, একতা ছাড়া কোনও ভাবেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নয়নের স্তম্ভ অবশ্যই জাতীয়তাবাদ এবং পূর্ব পুরুষদের দেখানো পথ হওয়া উচিৎ। মোহন ভাগবত বলেন, “আমরা গণতন্ত্রে থাকি। এখানে হিন্দু বা মুসলমানের প্রাধান্য থাকতে পারে না। এখানে শুধুমাত্র ভারতীয়র প্রাধান্য চলে।”

মোহন ভাগবতের কথায়, “সংঘ রাজনীতি থেকে দূরে থাকে। ভোটের রাজনীতিতে আমরা নেই। রাষ্ট্রে কী হওয়া উচিৎ তা নিয়ে আমাদের কিছু বক্তব্য আছে।” একইসঙ্গে গণপিটুনি নিয়েও এদিন কড়া বার্তা দেন আরএসএস প্রধান। সাফ জানান, গণপিটুনিতে মদত হিন্দুত্ব বিরোধী। তাঁর কথায়, “গণপিটুনিতে যারা মদত দেয় তারা হিন্দুত্ব বিরোধী। যদি কোনও হিন্দু বলে কোনও মুসলমান এখানে থাকবে না তা হলে সেই হিন্দুর হিন্দুত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এটা আমি প্রথমবার বলছি না। এমনটাই চলে এসেছে। আমি আজ সংঘ প্রধান হয়ে বলছি। কিন্তু সংঘ যখন ছোট ছিল তখনও বক্তব্য একই ছিল। আমাদের সকলের পূর্ব পুরুষ সমান। স্বার্থ আলাদা হলেও সমাজটা এক।”

আরও পড়ুন: অনুমতি নেই, তবু ‘পথে নামবেই’ বিজেপি! সোমবারের মিছিল রুখতে পাল্টা প্রস্তুতি সারা কলকাতা পুলিশেরও

এদিনের অনুষ্ঠানে অসামান্য বাগ্মিতায় উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করেন হিন্দুত্ববাদের এই বাহক। বার বার তাঁর কথায় উঠে আসে দেশের কথা, দশের কথা। বক্তব্য শেষে সংঘ প্রধানের সংযোজন, দেশকে আরও শক্তিশালী করাই সংঘ পরিবারের লক্ষ্য। সমাজের উন্নতিতেই নিরন্তর কাজ চলছে তাঁদের।