Hathras: পদপিষ্ট হয়েছে আগেও, একই গ্রামে একই বাবাজির সভায় গিয়েছিল অনেক প্রাণ

Jul 03, 2024 | 7:48 PM

Hathras stampede: মঙ্গলবার (৩ জুন) এক ধর্মসভায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১২১ জনের। যত সময় যাচ্ছে ততই সামনে আসছে বিস্ময়কর সমস্ত তথ্য। 'দ্য প্রিন্ট'-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২ বছর আগেও ওই ফুলরাই গ্রামেই এক ধর্মসভায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েকজনের।

Hathras: পদপিষ্ট হয়েছে আগেও, একই গ্রামে একই বাবাজির সভায় গিয়েছিল অনেক প্রাণ
এখনও পড়ে আছে চটি-জুতো
Image Credit source: PTI

Follow Us

হাথরস: বিপর্যয়ের পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলার ফুলরাই গ্রামে, মঙ্গলবার (৩ জুন) এক ধর্মসভায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১২১ জনের। যত সময় যাচ্ছে ততই সামনে আসছে বিস্ময়কর সমস্ত তথ্য। ‘দ্য প্রিন্ট’-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২ বছর আগেও ওই ফুলরাই গ্রামেই এক ধর্মসভায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েকজনের। কারা আয়োজন করেছিল সেই ধর্মসভার? মঙ্গলবার যার সৎসঙ্গে এসে প্রাণ গিয়েছিল ওই ১২১ জনের, সেই স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরি। যিনি নিজেকে ভগবান বিষ্ণুর অবতার বলে দাবি করেন।

মঙ্গল যাদব নামে ফুলরাই গ্রামের এক পুরোনো বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছে দ্য প্রিন্ট। তিনি সেখানে একটি পোশাকের দোকান চালান। তিনিই জানিয়েছেন ১২ বছর আগের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার কথা। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, ১২ বছর আগে, ঠিক একই রকমের ঘটনা ঘটেছিল ভোলে বাবার সৎসঙ্গে। বেশ কিছু মানুষের মৃত্যু হয় পদপিষ্ট হয়ে। মঙ্গলবারের অকুস্থলের থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরেই আয়োজিত হয়েছিল সেই সৎসঙ্গটি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের সৎসঙ্গে যেতে নিষেধ করেছিলেন। ফুলরাইয়ের গ্রামের আরেক বাসিন্দাও ১২ বছর আগের ঘটনাটির কথা জানিয়েছেন। সেই সময়, গ্রামের পাশের রাস্তাটি আকারে ছোট ছিল। হাইওয়ে ছিল না। সেই সময় বাবাজি এখনকার মতো জনপ্রিয়ও ছিলেন না। তাই এখনকার তুলনায় ভিড় কম ছিল। সেদিন যদি আরও মানুষ থাকত, তাহলে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। কিন্তু, সেই ঘটনা থেকে যে ভোলে বাবা কোনও শিক্ষাই নেননি, তা মঙ্গলবারের ঘটনাতেই প্রমাণ।

এদিকে, ফুলরাই গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। তাদের মতে,মৃতের প্রকৃত সংখ্যা প্রায় ৩০০ হবে। অনেক ক্ষেত্রেই মৃতদের পরিবার, দেহ স্থানীয় কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে সরাসরি নিজেদের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। নিজেদের গাফিলতি ঢাকতে, ইচ্ছে করেই শুধুমাত্র হাসপাতালে নিয়ে আসা মৃতদের সংখ্যা রিপোর্ট করেছে। যাদের লাশ, তাদের আত্মীয়রা বাড়ি নিয়ে চলে গিয়েছে, তাদের হিসেব ধরাই হয়নি। তবে, এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন সিকান্দার রাও-এর সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট অঙ্কুর ভার্মা। তিনিই এই অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সৎসঙ্গে আসা অধিকাংশ মানুষই মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। স্থানীয় মানুষ সেখানে কমই ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

Next Article