আহমেদাবাদ: হিরে ব্যবসার জন্য সুপরিচিত গুজরাটের সুরাট শহর। এই শহরেই শয়ে শয়ে মানুষকে দেখা গেল রাস্তায় নেমে হিরে খুঁজতে। রাস্তায় হিরে? হ্যাঁ, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকমই এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, সুরাটের হিরে কেনা-বেচার মিনি বাজার হিসেবে পরিচিত ভারাচ্চা এলাকায় মানুষ তন্ন তন্ন করে হিরে খুঁজছেন। সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, হিরে ব্যবসায় মন্দার জেরে নাকি হিরে ব্যবসায়ীরা রাস্তাতেই হিরে ফেলে দিয়েছেন। আর সেই হিরেই খুঁজে চলেছে মানুষ। ভিডিয়োটি ভারাচ্চা অঞ্চলের রাজহাঁস টাওয়ার এলাকার। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, কেউ কেউ এমনকী রাস্তা থেকে ধুলো সংগ্রহ করে, তার মধ্যেও হিরে খুঁজছেন। আর এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই, হইহই পড়ে গিয়েছে ভারতের হিরে ব্যবসা জগতে। সত্যিই কি ব্যবসায়ীরা রাস্তায় হিরে ফেলে দিচ্ছেন?
জানা গিয়েছে, সুরাটের রাস্তায় হিরে খোঁজার ভিডিয়োটি সত্যি হলেও, এর পিছনের কাহিনিটা আলাদা। অর্থনৈতিক মন্দার জেরে সুরাটের কোনও হিরে ব্যবসায়ী, রাস্তায় হিরে ফেলে দেননি। আহমেদাবাদ মিররের খবর অনুযায়ী, এক ব্যবসায়ী ভুলবশত কোটি টাকার হিরের একটি প্যাকেট রাস্তায় ফেলে গিয়েছেন বলে, গুজব ছড়িয়েছিল। আর তারপর থেকেই ওই এলাকায় রাস্তায় নেমে হিরের সন্ধান শুরু হয়। তবে, হিরের প্যাকেট ফেলে যাওয়ার কাহিনিটিও নিছকই গুজব বলেই প্রমাণিত হয়েছে।
#સુરત વરાછા મિનિબજાર રાજહંસ ટાવર પાસે હીરા ઢોળાયાની વાત થતા હીરા શોધવા લોકોની ભીડ થઈ.
પ્રાથમિક સૂત્રો દ્વારા જાણવા મળેલ છે કે આ હીરા CVD અથવા અમેરિકન ડાયમંડ છે..#Diamond #Surat #Gujarat pic.twitter.com/WdQwbBSarl— 𝑲𝒂𝒍𝒑𝒆𝒔𝒉 𝑩 𝑷𝒓𝒂𝒋𝒂𝒑𝒂𝒕𝒊 🇮🇳🚩 (@KalpeshPraj80) September 24, 2023
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর)। হিরে অনুসন্ধানকারীদের মধ্যে কেউ কেউ ওই এলাকার রাস্তা থেকে কয়েকটি ‘হিরে’ খুঁজেও পেয়েছেন। তবে, তাদেরও হতাশই হতে হয়েছে। কারণ, যে হিরেগুলি পাওয়া গিয়েছে সেগুলি ‘আমেরিকান ডায়মণ্ড’। দামের দিক থেকে আসল হিরের সঙ্গে এর কোনও তুলনাই হয় না। সাধারণত ইমিটেশন গয়না এবং কাপড়ের কাজে এগুলি ব্যবহার করা হয়। হতাশ হিরের অনুসন্ধানকারীরা জানিয়েছেন, সম্ভবত কেউ মজা করার জন্য ওই গুজব রটিয়েছিল।
ভারাচ্চা থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর অল্পেশ গাবানি জানিয়েছেন, হিরে ব্যবসায়ীরা আর্থিক মন্দার কারণে রাস্তায় হিরে ফেলে দিয়েছে এই দাবি সর্বৈব মিথ্যা। কোনও একজন ব্যক্তি, একটি আমেরিকান হিরের ব্যাগ রাস্তায় ফেলে গিয়েছিলেন। তা থেকেই হিরের গুজব ছড়াতে শুরু করে। এর পরই, এলাকার মানুষ রাস্তায় নেমে হিরে খুঁজতে শুরু করেছিলেন। এই ঘটনার সঙ্গে হিরে ব্যবসায়ীদের অসন্তুষ্টির কোনও সম্পর্ক নেই।