Prashant Kishor on Congress President : ‘কংগ্রেস সভাপতি হওয়া উচিত অ-গান্ধী নেতার,’ যোগদানের জল্পনার মাঝে মসনদে নজর পিকের!
Prashant Kishor on Congress President : কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ও অন্যান্য বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কংগ্রেসকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন পিকে। সূত্রের খবর, পিকে পরামর্শ দেন যে কংগ্রেসের সভাপতি হওয়া উচিত কোনও এক অ-গান্ধী নেতার।
নয়া দিল্লি : গত কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেসে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের যোগদান ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। গত শনিবার কংগ্রেসের সভাপতি সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন প্রশান্ত কিশোর। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের ভারডুবির পর ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় কিছু দাওয়াই দিয়েছেন তিনি। সেই দাওয়াই পর্যালোচনার জন্য কংগ্রেসের তরফে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্য়ে সেই কমিটিকে রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই রিপোর্ট ‘পজ়িটিভি’ না ‘নেগেটিভ’ তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে মোদীকে সরাতে কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য পিকে-র দেওয়া পরামর্শের কিছু অংশ প্রকাশ্যে এসেছে। সূত্রের খবর, পিকে পরামর্শ দেন যে কংগ্রেসের সভাপতি হওয়া উচিত কোনও এক অ-গান্ধী নেতার।
সূত্রের খবর, শনিবারের সাক্ষাতে সনিয়া গান্ধীকে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, পরবর্তী নির্বাচন হওয়া অবধি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে সনিয়া গান্ধীই দল সামলাতে পারেন। কিন্তু পরবর্তীতে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে কোনও অ-গান্ধী নেতারই দল পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া উচিত। পিকে-র এই পরামর্শ প্রকাশ্যে আসার পরই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে আগামী দুই থেকে চারদিনের মধ্যে শতাব্দী প্রাচীন দলে যোগ দিতে পারেন প্রশান্ত কিশোর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, তাহলে কি দলে যোগ দেওয়ার প্রাক্কালে কংগ্রেসে নিজের জায়গা নির্ধারণ করছেন পিকে! উল্লেখ্য, অ-গান্ধী সভাপতির দাবিতে এর আগেও কংগ্রেসের অন্দরে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। জি-২৩ নেতারা দফায় দফায় গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। এবং পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে হারের জন্য গান্ধী পরিবারকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তাঁরা। পিকে-ও নরমভাবে সেই ইঙ্গিত করলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শনিবারের কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া ও কংগ্রেসের অন্যান্য বরিষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পিকে কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবনের কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন। পিকে-র এই প্ল্যানকে নটরাজ প্ল্যানের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। নটরাজ প্ল্যান হল – শিব যেভাবে সৃষ্টি করে, রক্ষা করে এবং ধ্বংস করে, সেই একই ভাবে কংগ্রেসকে ভেঙে নতুন ধাঁচে গড়তে হবে। তবে কংগ্রেসের আত্মাকে অক্ষত রেখেই সেই কাজটা করতে হবে। টিভি৯ বাংলার কাছে এক্সক্লুসিভ সেই প্রেসেন্টেশনের তথ্য আসে। এই প্রেসেন্টেশনে পিকে আরও অন্যান্য পরামর্শও দেন।
- বিজেপি যেরকম দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দলের সদস্য় পদ গ্রহণের অভিযান চালায় সেরকম উদ্যোগ কংগ্রেসকেও নিতে হবে।
- আরএসএস ক্যাডারদের মতো দলে নতুন যোগদানকারীদের নির্বাচনের সময় ব্লক স্তরে কাজে লাগাতে হবে।
- কোনও রাজনৈতিক পরিবারের এক জনকেই টিকিট দিতে হবে।
- কংগ্রেসের সভাপতির সময়কাল স্থির হওয়া উচিত। বিজেপি ও সিপিএম তেও একই হয়।
- কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়ার উপর জোর দিক। কারণ প্রশান্তের মতে প্রথাগত সংবাদমাধ্যম পক্ষপাতদুষ্ট।
- বিজেপিকে ঠেকাতে ‘গান্ধী বনাম গডসে’ থিম গ্রহণ করা যায়। উল্লেখ্য, পিকের ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ থিমেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ঠেকাতে পেরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : Supreme Court : ‘বিচারব্যবস্থাকে ভাষণ দেবেন না…,’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে এক্তিয়ার বোঝালো সুপ্রিম কোর্ট