Supreme Court on SIR: সিএএ-তে আবেদন করলেই SIR-এ পাশ? বিরাট পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

Supreme Court on Bengal SIR Inclusion: কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করা কি সম্ভব? সোমবার শুনানি পর্বে সেই প্রসঙ্গটাই তুলে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত। এদিন তিনি বলেন, 'মামলাকারীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে যথাযোগ্য় প্রমাণ রয়েছে কি না তা আলাদাভাবে যাচাই করা প্রয়োজন। শুধুমাত্র জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা সংখ্যালঘু অভিবাসী বলে তাঁদের জন্য আলাদা সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।'

Supreme Court on SIR: সিএএ-তে আবেদন করলেই SIR-এ পাশ? বিরাট পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্টImage Credit source: PTI | Getty Image | X

|

Dec 02, 2025 | 9:05 AM

নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-এর নিরিখে তাঁরা নাগরিক হওয়ার ‘যোগ্য’। কিন্তু ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন যদি বাদের খাতায় ফেলে দেয়? সম্প্রতি এই প্রশ্ন তুলেই দেশের শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরা। ‘আত্মদীপ’ নামে একটি সংগঠনের নেতৃত্বেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন মামলাকারীরা।

সোমবার মামলাকারীদের আবেদন শুনেছেন প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। সংশ্লিষ্ট আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সিএএ-এর অধীনে ভারতের নাগরিকত্বের জন্য ‘যোগ্য’ সংখ্যালঘু অভিবাসীদের আবেদন বহুকাল ধরেই ঝুলে রয়েছে। এই আবেদনকারীদের অনেকই বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের নামও রয়েছে। কিন্তু এসআইআর-এর জেরে সেই বাদ পড়লে তাঁরা আবার ‘আশ্রয়হীন’ হয়ে পড়বেন বলেই আশঙ্কা। তাই সিএএ আবেদন মঞ্জুর না হওয়া পর্যন্ত এই অভিবাসীদের সাময়িক ভোটার হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হোক।

কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করা কি সম্ভব? সোমবার শুনানি পর্বে সেই প্রসঙ্গটাই তুলে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত। এদিন তিনি বলেন, ‘মামলাকারীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে যথাযোগ্য় প্রমাণ রয়েছে কি না তা আলাদাভাবে যাচাই করা প্রয়োজন। শুধুমাত্র জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা সংখ্যালঘু অভিবাসী বলে তাঁদের জন্য আলাদা সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।’ আপাতত ৯ ডিসেম্বরের SIR মামলাগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হল এই মামলাটিকে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পাশ হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের ভিত্তিতে এই অন্তর্ভুক্তির আবেদন জানিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে আগত অভিবাসীরা। সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে চলে আসা অমুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তরা সিএএ বা নতুন করে নাগরিকত্বের আবেদন জানানোর জন্য যোগ্য। এই নিরিখেই আবেদন জানিয়েছে বহু অভিবাসীই। কিন্তু একাংশের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে ঝুলে রয়েছে সেই আবেদন। তার মধ্যে এসআইআর প্রক্রিয়ার সূচনা, ফলত বাড়ছে বাদ যাওয়ার আশঙ্কা।