
ইম্ফল: অশান্তি শুরুর পর এই প্রথম মণিপুরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৮৬৪ দিন পর সেখানকার মানুষের কাছে তিনি নিয়ে গেলেন ‘শান্তির বার্তা’। আর মণিপুরের মোদীর সভা থেকেই শোনা গেল ‘ধাঁচ বদলানো’ নেপালের কথাও। প্রতিবেশী দেশের উদ্দেশে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, সেখানকার সদ্যনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী সুশীল কারকির কথা। তরুণ প্রজন্মের ‘অভিজ্ঞ’ নেত্রীকে নতুন অধ্যায়ের জন্য অভিবাদন জানালেন তিনি।
শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ নেপালের রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে শপথবাক্য পাঠ করেছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। হয়েছেন সেদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। তারপরেই শনিবার ইম্ফলে মোদীর সভায় উঠে এল তাঁর কথা। প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘নেপাল ভারতের বন্ধু দেশ। আমরা খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাদের সঙ্গে আমাদের দেশের ইতিহাসও ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে এবং আগামী দিনে এভাবেই আমরা একে অপরকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাব।’
এরপরে নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানিয়ে বলেন, ‘সুশীলাজিকে নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব সামলানোর জন্য ভারতের ১৪০ কোটি জনগণের পক্ষ থেকে আমি শুভেচ্ছা জানাই। আমার বিশ্বাস, তিনি নেপালে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির পথকে প্রশস্ত করবেন। নারীশক্তির এটাও একটা বড় নজির।’
চলতি সপ্তাহেই নেপালে ঘটেছে পালাবদল। কয়েকদিনের আন্দোলনেই দেশের সমীকরণ বদলে দিয়েছে তরুণ প্রজন্ম। জেনজি আন্দোলনের মুখে পড়ে পদত্য়াগ করেছেন কমিউনিস্ট প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। পড়ে গিয়েছে গোটা সরকার। তাই দেশের সংস্কারে এবারে নেপালে তৈরি হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। যার মাথায় সুশীলা।