
লখনউ: সেজে উঠেছে রামনগরী। মঙ্গলবার রাম মন্দিরে ধ্বজা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পূর্ব পরিকল্পনা মতোই এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ অযোধ্যায় পৌঁছে গিয়েছেন মোদী। সরাসরি যোগ দিয়েছেন পুজোর কাজে। এই সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশেই হাঁটতে দেখা যায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভগবতকে। এরপর রামলালার মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে আরতি করেন দু’জনে।
ছাব্বিশে বাংলায় নির্বাচন। সাতাশে উত্তর প্রদেশে। এই রাজ্য গেরুয়া শিবিরের ঘাঁটি হলেও লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তর প্রদেশের ভোটের সমীকরণে অনেকটাই চোট পেয়েছে গেরুয়া শিবির। এবার সেই চোট সারাতে মোদী-ভগবত ‘জুটি’ একটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই মত একাংশের। সহজ কথায়, নির্বাচনের আগে মোদী-ভগবতের এক মঞ্চে প্রকাশ্যে উপস্থিতি দু’পক্ষের ঐক্যের বার্তাকেই আরও জোড়ালো করবে।
সাম্প্রতিককালে বয়স প্রসঙ্গ হোক বা মেয়াদকাল, এমনকি বাংলায় গেরুয়া শিবিরের পারফরমেন্স। সব মিলিয়ে সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে বিজেপির একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল বলে দাবি একাংশের। দূরত্ব তৈরি হয়েছিল মোদী-ভগবত জুটির মধ্য়েও। তবে সেই দাবিকেই রাম মন্দিরের ধ্বজা উত্তোলন পর্ব নস্যাৎ করার ক্ষমতা রাখে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
রাম মন্দিরের ধ্বজা উত্তোলন ঘিরে মানুষের মধ্য়ে তৈরি হয়েছে উন্মাদনা। এই দৃশ্য দেখতে অযোধ্যায় এসেছেন লক্ষাধিক দর্শনার্থী। এছাড়াও রাম মন্দির ট্রাস্টের আমন্ত্রণেও ধ্বজা উত্তোলন পর্বে যোগ দিতে চলেছে ৭ হাজার বিশিষ্ট অতিথি। নেতা-মন্ত্রী, রাম মন্দির ট্রাস্টের দাতা, বৈদিক গবেষকের মতোর বিশিষ্টরাই রয়েছেন সেই অতিথি তালিকায়। তিথি ধরে হবে বিরাট গেরুয়া ধ্বজা উত্তোলন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ধ্বজা উত্তোলনের জন্য ১১টা ৪৮ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সময়কেই শুভ বলে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়কালের মধ্যে ধ্বজা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কিন্তু হঠাৎ করে এই পতাকা উত্তোলনের অর্থ কী? রাম মন্দির নির্মাণ কমিটি জানিয়েছে, পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হবে। যদিও সম্পূর্ণ কাজ যে শেষ হচ্ছে এমনটা নয়। মন্দির চত্বরে সামান্য কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে।