পটনা: ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ উদযাপনে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বিহারের জামুই সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নিয়ে গত তিনদিনে এটা প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় বিহার সফর। এদিন, ‘জনজাতি গৌরব দিবস’-এর মধ্য দিয়ে সূচনা হল, বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী বর্ষ উদযাপন। বিরসা মুন্ডার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন একটি স্মারক মুদ্রা এবং ডাকটিকিট উন্মোচন করবেন। শুধু বিরসা মুন্ডার জন্মদিন পালন করা নয়, এই অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামের উপজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়ন এবং পরিকাঠামোর উন্নতির লক্ষ্যে প্রায় ৬,৬৪০ কোটি টাকার একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন জামুইয়ে আদিবাসী নাচগানের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। এক পর্যায়ে এক বাদ্যকারের হাত থেকে তাঁর বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বাজাতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁকে দেখতে অনুষ্ঠানস্থলে ভিড় জমিয়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। তাঁদের মধ্যে একজন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, “আমরা আজ প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথা শুনতে চাই। প্রধানমন্ত্রী মোদী কৃষক, শ্রমিকদের জন্য অনেক কাজ করেছেন এবং দরিদ্রদের বিনামূল্যে রেশন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।” মৌসম দেবী নামে এক মহিলা বলেছেন, “আমরা এখানে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেখতে এসেছি। কৃষকদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে তিনি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। আমরা কোভিড সংকটে বিনামূল্যে রেশন পেয়েছি এবং এখনও তা পাচ্ছি।”
এদিন, প্রধানমন্ত্রীর যাবতীয় ব্যস্ততা বিহারে হলেও, পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খন্ডেও তাঁর এই সফরের প্রভাব পড়বে বলে আশা করছে বিজেপি। ঝাড়খণ্ডও আদিবাসী অধ্যুষিত রাজ্য। জনসংখ্যার ২৬ শতাংশই আদিবাসী। রাজ্যে নির্বাচন চলছে। রাজ্যের ২৮টি বিধানসভা কেন্দ্রই তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। এর মধ্যে প্রথম দফায় ভোট দিয়েছে ২০টি কেন্দ্র। পরের দফায় ভোট সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে, এখানকার ১৮টি আসনের মধ্যে মাত্র ৪টিতে জিতেছিল বিজেপি। তবে, অনুপ্রবেশ এবং জনবিন্যাসের পরিবর্তনের সমস্যাকে সামনে রেখে এবং আদিবাসী অধিকারের জন্য লড়াইকে সামনে রেখে সাঁওতাল পরগনা থেকে এবার সবথেকে বেশি লাভ করার স্বপ্ন দেখছে বিজেপি।