
নয়াদিল্লি: ৯৮ বছর বয়সে পা দিলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী। শনিবার সেই আবহেই তাঁর বাসভবনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের সমাজমাধ্যমেই সেই ছবি পোস্ট করেন তিনি। দীর্ঘায়ু কামনা করেন গেরুয়া শিবিরের প্রবীণ নেতার। এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মোদী লিখেছেন, ‘অনেক দিন পর লালকৃষ্ণ আডবাণীর বাসভবনে গিয়েছিলাম। ওনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছি। দেশের প্রতি ওনার অবদান সত্যিই অনস্বীকার্য। যা আজও আমাদের প্রতি নিয়ত অনুপ্রেরণা জোগায়।’ শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, লালকৃষ্ণ আডবাণীকে ৯৮ বছরের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
নিজের সমাজমাধ্যমে শাহ লিখেছেন, ‘আডবাণীজি বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে অন্যতম। ভারতীয় রাজনীতির লৌহমানব, ভারত রত্ন সম্মানিত। তাঁর হাত ধরেই বিজেপি হাঁটতে শিখেছে। তৃণমূল স্তর থেকে উঠে দাঁড়াতে শিখেছে। আডবাণীজি নিজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন দেশের অভ্য়ন্তরীণ নিরাপত্তার খাতিরে একাধিক কাজ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে রাম জন্মভূমি আন্দোলন দেশজুড়ে নাড়া ফেলেছে।’
উল্লেখ্য, ১৯২৭ সালে অবিভক্ত ভারত ও বর্তমানের পাকিস্তানের করাচিতে জন্ম হয় লালকৃষ্ণ আডবাণীর। পরবর্তীতে দেশভাগের মতো ঘটনা তাঁকে অন্তর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। লালকৃষ্ণ আডবাণীর প্রাথমিক স্তরের পড়াশোনা করাচি। পরবর্তীতে নিজের কিশোর বেলাতেই সঙ্ঘ পরিবারে যোগদান করেন তিনি। ১৪ বছর বয়স আরএসএস-এর হয়ে ময়দানে নেমে কাজ শুরু করেন আডবাণী। পরবর্তীতে পেশা হিসাবে দীর্ঘ কয়েক বছর সাংবাদিকতা করেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। তারপর রাজনীতি।
১৯৯০ সালে দেশের রাজনীতিতে একটা অন্যতম অধ্যায়ের সূচনা ঘটিয়েছিলেন আডবাণীজি। রাম মন্দিরের দাবিতে তাঁর নেতৃত্বেই বেরিয়ে ‘রাম রথযাত্রা’। মূলত রামমন্দির নিয়ে জনমত তৈরিতেই এই যাত্রা শুরু করেন তিনি। যা চলেছিল ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। একাংশের বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই রাম রথযাত্রার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছিল বাবরি মসজিদ হামলার ঘটনায়।