
কলকাতা: ৭৫ মিনিটের সভা সারতে হল মিনিট পনেরোর অডিয়ো বার্তায়। আবহাওয়ার জেরে শনিবার প্রত্যাশা মাফিক মিটল না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তাহেরপুরের সভা। নানা ইস্যুতে মুখ খুলেছেন তিনি। স্মরণ করিয়েছেন, বাংলায় চলা ‘মহাজঙ্গলরাজের’ কথাও। তবে কলকাতা ছাড়তেই সেই বার্তাতেই নব্য সংযোজন যুবভারতী কাণ্ড।
এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে মেসি সফরের মাঝে কলকাতার অন্যতম ক্রীড়াঙ্গনে হওয়া উত্তাল পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের দিকেই দায় ঠেললেন প্রধানমন্ত্রী। লিখলেন, ‘গত কয়েক বছরে বাংলার মানুষজন প্রচুর কিছু সহ্য করছেন। এমনকি, বাংলার নারী শক্তির অধঃপতন লক্ষণীয়। পাশাপাশি, বাংলার মতো একটি ফুটবলপ্রেমী রাজ্যকে শুধুমাত্র তৃণমূলের জন্য কতটাই না অপমানিত হতে হল। কত ফুটবল-প্রেমীদের মন ভাঙল।’
The people of West Bengal have endured a lot in recent years. The condition of West Bengal’s Nari Shakti is deeply distressing. A football-loving state like West Bengal was shamed courtesy the TMC. The recent incident has broken the hearts of so many football-loving youth.
— Narendra Modi (@narendramodi) December 20, 2025
১৩ ডিসেম্বরের কথা। ভারত সফরের মাঝে সর্বপ্রথম বাংলায় পা রেখেছিলেন বিশ্বকাপজয়ী তারকা ফুটবলার লিয়োনেল মেসি। তাঁর আগমন ঘিরে মানুষের মনে বিরাট উন্মাদনা। হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটে যুবভারতীতে মেসিকে ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলেন বহু দর্শক। কিন্তু যতটা উচ্ছ্বাস নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে প্রবেশ করেছিলেন তাঁরা, মিনিট খানিকের মধ্যে সেই ছবি একেবার উল্টে যায়।
ক্রীড়াঙ্গনে তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। নেতা-মন্ত্রী-বিশিষ্টদের ঝাঁকে দেখা যায় না মেসিকে এই অভিযোগেই প্রথমে স্টেডিয়াম থেকে জলের বোতল ছোঁড়া হয়। তারপর তুঙ্গে ওঠে পারদ। পরিস্থিতি বেসামাল হতেই নির্ধারিত সময়ের আগেই লিয়োনেল মেসিকে দিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরের দিকে রওনা দেন মূল উদ্য়োক্তা শতদ্রু দত্ত। তারপরই ক্রীড়াঙ্গনের দখল নেয় ক্ষিপ্ত দর্শকরা। এরপর এই ঘটনার জল গড়িয়েছে বহুদূর। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, শনিবারের সভা থেকে এই নিয়ে রাজ্য়ের শাসক শিবিরের দিকে আক্রমণ করতে পারতেন মোদী। সেই হামলা তিনি করলেন, কিন্তু অনেকটাই পড়ে। কুয়াশাই যেন সব বিগড়ে দিল।