
নয়া দিল্লি: ট্রাম্পের চাপানো অতিরিক্ত শুল্ক নিয়ে এখন এমনিতেই চলছে চাপানউতোর। রাশিয়ার থেকে তেল কেনার ‘অপরাধে’ ভারতীয় পণ্যের উপর জরিমানা-সহ ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতি ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া। চলতি মাসের শেষে ভারত সফরে আসার কথা পুতিনের। তার আগে শুক্রবারই পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় মোদীর।
মোদী সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছেন, “পুতিনের সঙ্গে খুব ভাল এবং বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাকে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন, সে কারণে তাঁকে ধন্যবাদ। দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে।” ভারত এবং রাশিয়ার সম্পর্ক আরও জোরদার করার ব্যাপারেও কথা হয়েছে বলে তিনি জানান। পুতিন ভারতে আসবেন, আর তাঁকে স্বাগত জানাতে তিনি কতটা মুখিয়ে রয়েছেন, সামাজিক মাধ্যমে তা প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। উল্লেখ্য, বুধবার ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের উপর আরও ২৫ শতাংশ জরিমানা আরোপ করেছেন। আগেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আমরা ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছি। জানি না সেটাই কারণ কি না, তবে আজ রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ হল।’’
আর ট্রাম্পের চাপানো এই শুল্কের ফলে ভারত থেকে আমেরিকায় রফতানি করা পণ্যে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক বসবে। আর এর ফলে আইটি, ফার্মাসিউটিক্যাল, টেক্সটাইল সংক্রান্ত পণ্যদ্রব্য, পরিষেবায় সার্বিক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর হামলার চালানোর পর আমেরিকা রাশিয়ার আগ্রাসন নীতির প্রতিবাদ করেছিল। রাশিয়ার ওপর আমেরিকা একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করে। আর তাতেই আন্তর্জাতিক বাজারে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় রাশিয়াকে। সেই পরিস্থিতিতে আবার রাশিয়া থেকে খনিজ তেল কেনা শুরু করে ভারত। সেটাই ভাল চোখে নেননি ট্রাম্প। রাশিয়া থেকে এই মুহূর্তে ভারত ৩৫ শতাংশ তেল আমদানি করবে। ট্রাম্পের এই অতিরিক্ত ‘শুল্ক-শাস্তির’ পরও দেশের আম জনতার স্বার্থে রাশিয়া থেকেই তেল আনবেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন মোদী। এই পরিস্থিতিতে মোদীর সঙ্গে পুতিনের ফোনে কথা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।