বিশ্বমানের হচ্ছে ঝাঁসি রেলস্টেশন
লখনউ: রেলের আধুনিকীকরণের জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। তা ট্রেনের মানোন্নয়নই হোক কিংবা স্টেশনের পুনর্নির্মাণ। সর্বত্র বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় রেল। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী রেল স্টেশনগুলিতে, বিমানবন্দরের মতো সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে, তবে সেগুলি হবে অনেক সাশ্রয়ী। বিমানবন্দরের মতো ব্যয়বহুল হবে না। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি রেলস্টেশনকেও অন্তর্ভুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। রবিবার প্রধানমন্ত্রী মোদী টুইটারে ঝাঁসি রেলওয়ে স্টেশনের পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা শেয়ার করেছেন। আগামী দিনে ঝাঁসি রেলস্টেশনের চেহারা হবে বিমানবন্দরের মতো। পাঁচ তারা হোটেলের মতো সুবিধা পাওয়া যাবে। রেলস্টেশনটি পুনর্নির্মাণে কত খরচ হবে, তা এখনও জানানো হয়নি। আসুন দেখে নেওয়া যাক, ঝাঁসির রেলস্টেশন কেমন দেখতে হতে চলেছে –
ঝাঁসি রেলওয়ে স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে ‘বীরাঙ্গনা লক্ষ্মীবাই ঝাঁসি স্টেশন’ করা হয়েছে। স্টেশনটির দেখতে হবে অবিকল ঝাঁসির রাণীর প্রাসাদের মতো। এতে বিশ্বমানের সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। এই স্টেশনের বাইরে তৈরি করা হবে একটি ‘হেরিটেজ ওয়াক’। সেখানে হাঁটাহাঁটি করলে কারোর মনে হবে যেন ঝাঁসির রানীর প্রাসাদে আছেন তিনি। যাত্রীদের থাকার জন্য স্টেশনে একটি বিলাসবহুল ওয়েটিং এরিয়াও তৈরি করা হবে। সেখানে সাধারণ মানুষ তাদের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন।
টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ঝাঁসির বিশ্বমানের রেলওয়ে স্টেশনটি, ঝাঁসির পাশাপাশি আশেপাশের অন্যান্য অঞ্চলেও পর্যটন ও বাণিজ্যের বিস্তারে সহায়ক হবে। এদিন ঝাঁসির সাংসদ অনুরাগ শর্মা একটি টুইট করে ঝাঁসিতে বিশ্বমানের স্টেশন তৈরির অনুমোদন দেওয়ার জন্য, বুন্দেলখণ্ডের জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। ওই টুইটের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত জুড়ে বিভিন্ন রেলস্টেশনের আধুনিকীকরণের প্রচেষ্টার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হল ঝাঁসি স্টেশনের পুনর্নির্মাণ।