
নয়াদিল্লি: লোকসভায় এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশন দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিলেন তিনি। সংসদে তুলে ধরলেন মহাকুম্ভের কথা। গত মাসে ২৬ তারিখ প্রয়াগরাজে শেষ হয়েছে ১৪৪ বছর পর আগত এই পবিত্র উৎসব।
এক মাসের অধিক সময় ধরেই প্রয়াগরাজের গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে চলেছিল এই মহাকুম্ভ। ১৪৪ বছর পর আসা পুণ্য উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন দেশ-বিদেশ থেকে আগত পুণ্যার্থীরা। মহাকুম্ভে এসে পুণ্যডুব দিয়ে গিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। নিজের সেই আবেগ নিয়ে পরবর্তীতে লেখা-লিখিও করেন তিনি। এবার দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে মহাকুম্ভ নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে।
কী বললেন তিনি?
মহাকুম্ভ যে সাধারণ মানুষের জন্যই ছিল, সংসদ থেকে তা এদিন মনে করালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, ‘মহাকুম্ভের মধ্যে দিয়ে আমাদের রাষ্ট্রীয় চেতনার উন্মোচন হয়েছে। যারা আমাদের সামর্থ্য নিয়ে মনে আশঙ্কা তৈরি করে, মহাকুম্ভ তাদের একটা মোক্ষম জবাব দিয়েছে। গত বছর রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন আমরা টের পেয়েছিলাম যে কীভাবে এই দেশ আগামী হাজার বছরের জন্য তৈরি হয়েছে। আর ওই ঘটনার এক বছর পরেই মহাকুম্ভ আমাদের সেই ধারণাকেই কার্যত নিশ্চিত করেছে।’
মঙ্গলবার, সংসদে দাঁড়িয়ে বাঙালি মননকে ছুঁয়ে যেতে ভুললেন না প্রধানমন্ত্রী। তুলে ধরলেন স্বামী বিবেকানন্দের সেই শিকাগোয় দেওয়া ভাষণের কথা। তাঁর কথায়, ‘শিকাগো থেকে স্বামী বিবেকানন্দ ভারতীয়দের আত্মসম্মানকে জাগিয়ে তুলেছিল।’ তবে স্বামী বিবেকানন্দ ছাড়াও মোদীর মুখে শোনা গেল ভগৎ সিং ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের কথাও। ভুললেন না স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধীজির ভূমিকাও।
এরপরই স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে মহাকুম্ভের তুলনা টানলেন মোদী। তিনি বললেন, ‘গান্ধীজির ডান্ডি মার্চ, নেতাজির দিল্লি চলো ডাকের মতো একাধিক পর্বের মধ্যে দিয়ে প্রেরণা নিয়ে ভারত স্বাধীনতা আন্দোলনে নেমেছিল। আমি মনে করি, প্রয়াগরাজে হওয়া মহাকুম্ভও এই রকমই একটি পর্বের মতোই। যার মাধ্যমে দেশের মানুষের মধ্য়ে তৈরি হওয়া জাগরণ প্রতিফলিত হয়।’