
নয়াদিল্লি: নয়াদিল্লি থেকে ফোন গেল সংঘাত বিধ্বস্ত তেহরানে। রবিবার ভোরে ইরানের তিন পরমাণুকেন্দ্রে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। তারপর বেলা গড়াতেই ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেস্কিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মোদী। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরই নিজের সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেন সেই বার্তালাপের কথা।
এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মোদী লিখেছেন, ‘ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হল। সেদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অনেকটাই আলোচনা হয়েছে। গোটা ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। অবিলম্বে আমাদের উত্তেজনা প্রশমনের মাধ্যমে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা করা প্রয়োজন।’
Spoke with President of Iran @drpezeshkian. We discussed in detail about the current situation. Expressed deep concern at the recent escalations. Reiterated our call for immediate de-escalation, dialogue and diplomacy as the way forward and for early restoration of regional…
— Narendra Modi (@narendramodi) June 22, 2025
প্রথম থেকে যে কোনও রকম যুদ্ধ, তা রাশিয়া-ইউক্রেন হোক বা ইজরায়েল-গাজা বা ইজরায়েল-ইরান। প্রতি ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার চেষ্টা করেছে ভারত। ১৩ই জুন যখন ইরানে প্রথম হামলা চালায় ইজরায়েল। ঠিক সেই দিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
সেই সময় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট মোদী লিখেছিলেন, ‘ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। তিনি আমাকে গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করেছেন। আমি সবটাই শুনেলাম। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, শান্তি ফিরিয়ে আনা উচিত বলেই আমার ধারণা।’ এবার সংঘাত যখন তুঙ্গে, সেই সময় ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হল মোদীর।
Received a phone call from PM @netanyahu of Israel. He briefed me on the evolving situation. I shared India’s concerns and emphasized the need for early restoration of peace and stability in the region.
— Narendra Modi (@narendramodi) June 13, 2025
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইজরায়েল-ইরান সংঘাতেও আপাতত নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে ভারত। কোনও পক্ষকেই সমর্থন দিতে নারাজ সাউথ ব্লক। তার কারণ একটাই, ইজরায়েলের ও ইরান দুই দেশের সঙ্গেই ভারত সম্পর্ক মন্দ নয়। সর্বপরী ইজরায়েল যে কোনও রকম সংঘাতে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়ে থাকে। অন্যদিকে, ইরানে রয়েছে বাণিজ্য। আর সেই কথা মাথায় রেখেই নিরপেক্ষ অবস্থান নিরাপদ।