নয়া দিল্লি: নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) মন্ত্রিসভায় আসন বাড়ছে। আরও ২৮ জন মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন। এমনই জোর জল্পনা নয়া দিল্লিতে। সেই আবহেই বৈঠকে বসছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারামন, জেপি নাড্ডা-সহ আরও অনেকে।মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে হবে এই বৈঠক। সূত্রের খবর, বৈঠকে কেন্দ্রের মন্ত্রী ও বিজেপি দলের সর্বোচ্চ নেতারা থাকবেন। বৈঠকে থাকতে পারেন নরেন্দ্র সিং তোমার, প্রহ্লাদ যোশি, পীযূষ গোয়েলও।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। মোদীর ক্যাবিনেটে এ বার জেডিইউ বা এলজেপির পরস গ্রুপ আসতে পারে বলে জোর জল্পনা। পাশাপাশি সূত্রের দাবি, মন্ত্রিসভায় সুযোগ পেতে পারেন উত্তর প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশের কয়েকজন সাংসদও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মন্ত্রিত্ব দিয়ে শুধু সরকার মজবুত করছেন না মোদী। পাশাপাশি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে বোঝাপড়া মিটিয়ে নিচ্ছেন।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী ৫৩ থেকে ৮১ হতে পারে মোদীর মন্ত্রী সংখ্যা। জল্পনার তালিকা সবার প্রথমেই নাম রয়েছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। তাঁর কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান গত বছর মধ্য প্রদেশ দখল করতে সাহায্য করেছিল বিজেপিকে। তারপর থেকে রাজ্যসভায় একটি আসন ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছু পাননি তিনি। ফলে জ্যোতিরাদিত্যর নামই রয়েছে সবার উপরে। দ্বিতীয় স্থানেই শোনা যাচ্ছে সর্বানন্দ সোনোয়ালের নাম। যাঁর আত্মত্যাগের কারণেই অসমের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সোনোয়ালকেও ‘রিটার্ন গিফট’ দেওয়ার কথা ভাবছে বিজেপি।
রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুতে একটি পূর্ণমন্ত্রক খালি হয়েছে নমোর মন্ত্রিসভায়। সেই জায়গায় রামবিলাসের ভাই তথা চিরাগ পাসোয়ানের কাকা পশুপতি পরস জায়গা পেতে পারেন। অন্যদিকে, ২০১৯ সালে পছন্দসই গুরুত্ব না মেলায় মন্ত্রিসভায় থাকতে চায়নি এনডিএ শরিক তথা নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ। এ বার কী হবে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে সূত্রের খবর, কমপক্ষে দুটো মন্ত্রকের দাবি রয়েছে নীতীশের। এর পাশাপাশি আগামী বছর উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন থাকায় সেখান থেকেও বরুণ গান্ধী এবং এনডিএ শরিক আপনা দলের অনুপ্রিয়া পটেলের নাম জল্পনায় রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ থেকেও কয়েকজন সাংসদের নাম ঘুরপাক খাচ্ছে যারা মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন। বাংলা থেকে অবশ্য সংখ্যাটা ১ হবে না ২, এই নিয়ে বেশ জল্পনা রয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, ২০১৯ সালে ১৮ টি আসন পাওয়ার পরও একজনও পূর্ণমন্ত্রী পায়নি বাংলা। শুধুমাত্র বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। এ বার মন্ত্রিসভায় সুযোগ মেলার সম্ভাবনা রয়েছে কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের। এর পাশাপাশি বনাগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম রয়েছে সম্ভাব্যের তালিকায়।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ঢেউ আটকাতে প্রয়োজন দৈনিক ৮৬ লক্ষ টিকাকরণ, কোথায় দাঁড়িয়ে দেশ?