
নয়াদিল্লি: বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার সকালে কথা বলেছেন তিনি। নভেম্বর মাস থেকেই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার সূচনা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডে প্রধানমন্ত্রী এর সূচনা করেছিলেন। তার পর ধাপে ধাপে গোটা দেশে শুরু হয়েছে এই যাত্রা। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই এই যাত্রার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র পাশাপাশি ‘প্রধানমন্ত্রী মহিলা কিসান ড্রোন কেন্দ্র’ উদ্যোগেরও সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রান্তিক এলাকায় মহিলা পরিচালিত উন্নয়নের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ মোদী সরকারের। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা সেল্ফ হেল্প গ্রুপ গুলিকে দেওয়া ড্রোন দেওয়া হবে। বিভিন্ন কাজে প্রান্তিক মানুষের কাছে প্রযুক্তির পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের প্রায় ১৫ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই ড্রোন দেওয়া হবে। ড্রোন ওড়ানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বিভিন্ন কাজে যাতে ড্রোন ব্যবহার করতে পারেন সে জন্যই এই পদক্ষেপ। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ড্রোন প্রশিক্ষণের বিষয়টি এ বছরের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেই উল্লেখ করেছিলেন মোদী। ঘোষণার কয়েক মাসের মধ্যেই তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জন ঔষধি কেন্দ্র বাড়াতেও উদ্যোগী মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। প্রান্তিক মানুষ যাতে সুলভে ওষুধ পেতে পারেন, সে জন্যই জন ঔষধি কেন্দ্র বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে ১০ হাজার জন ঔষধি কেন্দ্র রয়েছে দেশে। তা বাড়িতে ২৫ হাজার করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।