
নয়াদিল্লি: সম্প্রতি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে গিয়ে অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, পার্শ্ব-বৈঠক সেরেছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও।
দক্ষিণ এশিয়ার মোট সাতটি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে এই বিমস্টেক গঠিত হয়েছে। চলতি বছরের শীর্ষ সম্মেলনে ২১টি দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই বৈঠকে তিনি তুলে ধরেছিলেন সদস্য রাষ্ট্রগুলির পারস্পরিক সম্পর্কের কথা। জানিয়েছিলেন, কীভাবে জলবায়ু মোকাবিলা ও ডিজিটাল বিপ্লবে কাজ করা যেতে পারে। পাশাপাশি, মোদীর মুখে উঠে আসে বঙ্গোপসাগরকে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করার কথাও।
তিনি বলেন, ‘এই শীর্ষ সম্মেলনে দাঁড়িয়ে আমরা যে ব্য়াঙ্কক ভিজন ২০৩০-এর কথা বলছি, তা দিনশেষে বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের বাণিজ্যিক বিকাশ ঘটাবে বলে আমি মনে করি। এমনকি, দক্ষিণ এশিয়ার এই বিমস্টেক গোষ্ঠীকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে আমাদের উচিত বঙ্গোপসাগর অঞ্চলকে নানা ভাবে ব্য়বহার করে, তার বাণিজ্যিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।’
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের বাণিজ্যে জোর দেওয়ার মাধ্য়মে বিমস্টেক দেশগুলির একীকরণের দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও, মোদীর এই ‘বিশেষ একুশে’ ঠাঁই পেয়েছে ভারতের ডিজিটাল কাঠামো, UPI ব্যবস্থা-সহ আরও বেশ কিছু দিকও।