
নয়াদিল্লি: এক নয় এগারো। রবিবার মোদীর ১২৭ তম ‘মন কি বাতের’ পর্ব শোনা গেল মোট ১১টি আঞ্চলিক ভাষায়। তাও আবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে। প্রতি মাসের মতোই জাতির উদ্দেশে ‘মন কি বাত’-এর মাধ্য়মে ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বন্দেমাতরম-র দেড়শো বছর উদযাপন থেকে বল্লভভাই প্য়াটেলের দেড়শো তম জন্মবার্ষিকী, একাধিক বিষয় নিয়েই বার্তা দিয়েছেন তিনি। তবে এবারের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ছিল একটা বিশেষ চমক। তা হল আঞ্চলিক ভাষার সমাহার। একাধিক ভাষায় শোনা যায় মোদীর বার্তা।
গত কয়েক বছর ধরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্য়বহারে জোর দিয়েছে নয়াদিল্লি। বাজেট পর্ব কিংবা কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্প। প্রতিক্ষেত্রেই ধরা পড়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার। দেশের যুব প্রজন্ম যাতে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সহজ ভাবে গ্রহণ করতে পারেন, সেই কথা মাথায় রেখে একাধিক প্রশিক্ষণ প্রকল্প শুরু করেছে কেন্দ্র।
এবার সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে নাম লেখালেন খোদ প্রধানমন্ত্রীও। রবিবার মালায়ালম, তেলেগু, কন্নড়, ইংরেজি, গুজরাটি, তামিল, মারাঠি, অসমীয়া, ওড়িয়া এবং বাংলায় সম্প্রচারিত হল ‘মন কি বাত’। গোটা দেশের মানুষ শুনলেন প্রধানমন্ত্রীর বার্তা।
‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের ১২৭ তম পর্বে প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করলেন ‘বন্দেমাতরম’। এদিন তিনি বলেন, ‘ভারতের জাতীয় স্তোত্র বন্দেমাতরম সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করে। এই গানের প্রথম লাইনটাই প্রতিটি ভারতীর মনে অনুভূতির জোয়ার তৈরি করতে সক্ষম। কারণ, বন্দেমাতরম এই একটা শব্দই হাজার অনুভূতি দ্বারা আবৃত। যা খুব সহজ ভাবে মাতৃভূমির সঙ্গে আকর্ষণ তৈরি করে।’ পাশাপাশি আগামী বছর ‘বন্দেমাতরম’ জাতীয় স্তোত্রের দেড়শো বছর পূর্ণ হচ্ছে। তাই সেই উপলক্ষে দেশবাসীর কাছে বিশেষ উদযাপন আয়োজনের আর্জি রাখেন তিনি।