নয়া দিল্লি: ফের মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দিতে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলার বকেয়া নিয়ে বৈঠক করতে চান তিনি। তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি সময় চেয়েছেন। গত শনিবার, বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরে তিনি বলেছিলেন, ‘চিঠি দিয়ে সময় চেয়েছি। সময় দিলে ভাল। না হলে যা করার করব।’ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর), প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ২০ ডিসেন্বর সকাল ১১ টায় দুই নেতার বৈঠক হবে। ১৯ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে যোগ দিতে ১৮ ডিসেম্বরই দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পরদিনই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় নির্ধারিত হল।
গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়ে তাঁর দফতরে চিঠি পাঠিয়েছিল নবান্ন। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, স্বাস্থ্য যোজনার বকেয়া টাকা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন মমতা। তবে, মমতা একা নন, শোনা যাচ্ছে তাঁর সঙ্গে কয়েকজন দলাীয় সাংসদও থাকতে পারেন। সম্প্রতি তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় দাবি করেছিলেন, বকেয়া সমস্যার সমাধানের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন, এমনই পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। গিরিরাজ সিং যদিও পরে সুদীপের এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তবে, শেষ পর্যন্ত সেই বৈঠক হচ্ছে।
এর আগে, ২০২২-এর অগস্টে চারদিনের দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সফরের সময়ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বকেয়া নিয়ে বৈঠক করেছিলেন তিনি। এই সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেওয়ায় গ্রামের মানুষ মহা সমস্যায় পড়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে সেই বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু, তারপর এক বছর কেটে গিয়েছে। এখনও সেই সমস্যা মেটেনি।
মমতা সরকারের অভিযোগ, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের তহবিলের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। সব মিলিয়ে ১.১৫ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রাখা হয়েছে বলে রাজ্যের অভিযোগ। এদিকে কেন্দ্রের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে এই সকল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে। কেন্দ্রের পাঠানো অর্থ কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তার হিসেব না দিলে অর্থ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে তারা। দীর্ঘদিন ধরেই, বকেয়া সমস্যা নিয়ে এই কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চলছে। দুই পক্ষের সংঘাতে আখেড়ে ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এবার প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে কী এই অচলাবস্থা কাটবে?
নয়া দিল্লি: ফের মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দিতে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলার বকেয়া নিয়ে বৈঠক করতে চান তিনি। তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি সময় চেয়েছেন। গত শনিবার, বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরে তিনি বলেছিলেন, ‘চিঠি দিয়ে সময় চেয়েছি। সময় দিলে ভাল। না হলে যা করার করব।’ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর), প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ২০ ডিসেন্বর সকাল ১১ টায় দুই নেতার বৈঠক হবে। ১৯ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে যোগ দিতে ১৮ ডিসেম্বরই দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পরদিনই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় নির্ধারিত হল।
গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়ে তাঁর দফতরে চিঠি পাঠিয়েছিল নবান্ন। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, স্বাস্থ্য যোজনার বকেয়া টাকা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন মমতা। তবে, মমতা একা নন, শোনা যাচ্ছে তাঁর সঙ্গে কয়েকজন দলাীয় সাংসদও থাকতে পারেন। সম্প্রতি তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় দাবি করেছিলেন, বকেয়া সমস্যার সমাধানের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন, এমনই পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। গিরিরাজ সিং যদিও পরে সুদীপের এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তবে, শেষ পর্যন্ত সেই বৈঠক হচ্ছে।
এর আগে, ২০২২-এর অগস্টে চারদিনের দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সফরের সময়ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বকেয়া নিয়ে বৈঠক করেছিলেন তিনি। এই সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেওয়ায় গ্রামের মানুষ মহা সমস্যায় পড়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে সেই বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু, তারপর এক বছর কেটে গিয়েছে। এখনও সেই সমস্যা মেটেনি।
মমতা সরকারের অভিযোগ, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের তহবিলের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। সব মিলিয়ে ১.১৫ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রাখা হয়েছে বলে রাজ্যের অভিযোগ। এদিকে কেন্দ্রের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে এই সকল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে। কেন্দ্রের পাঠানো অর্থ কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তার হিসেব না দিলে অর্থ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে তারা। দীর্ঘদিন ধরেই, বকেয়া সমস্যা নিয়ে এই কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চলছে। দুই পক্ষের সংঘাতে আখেড়ে ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। এবার প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে কী এই অচলাবস্থা কাটবে?