PM Narendra Modi: ‘গরিবকে লুটতেই ইন্ডিয়া নাম’, বিরোধী জোটের নতুন নাম দিলেন প্রধানমন্ত্রী
NDA Vs INDIA: সাংসদদের প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দেন যে উন্নয়নমূলক সরকারি প্রকল্পগুলিকে যেন সাধারণ মানুষের কাছে এনডিএ সরকারের প্রকল্প হিসাবে তুলে ধরা হয় এবং এনডিএ-ই একমাত্র স্থিতিশীল সরকার গড়তে পারে, এটি তুলে ধরা হয়।
নয়া দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে ভোটের এক বছর আগে থেকেই। ইতিমধ্য়েই কোমর বেঁধে ভোটের আট-ঘাট সাজাতে নেমে পড়েছে শাসক ও বিরোধী দলগুলি। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে রুখতে একজোট হয়েছে ২৬টি বিরোধী দল। এই বিরোধী জোটের পোশাকি নাম ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA)। একদিকে যেখানে বিরোধী জোট মণিপুর ইস্যু নিয়ে ক্রমাগত কেন্দ্রকে আক্রমণ করে চলেছে, তেমনই আবার শাসক দলও বিরোধী জোটকে একহাত নিচ্ছে সুযোগ পেলেই। বিরোধী জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ নিয়ে প্রথম থেকেই কটাক্ষ করছে বিজেপি (BJP)। এবার ‘ইন্ডিয়া’কে নতুন নাম দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার বিহারের জোটসঙ্গীদের সঙ্গে দেখা করে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দেন যে বিরোধী জোটকে ‘ইন্ডিয়া’ বলে না ডেকে, ‘ঘামান্ডিয়া’ (Ghamandiya) বলে ডাকা হোক। যার বাংলা তর্জমা ‘অহংকারী’।
ইন্ডিয়া জোট তৈরি হওয়ার পর থেকেই তাদের একাধিক নামে আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সম্প্রতিই তিনি বলেছিলেন, “ওঁরা ইউপিএ থেকে নাম পরিবর্তন করে ইন্ডিয়া করেছে এটা লুকানোর জন্য যে গরিবদের কীভাবে প্রতারিত করেছে… ইন্ডিয়া নামটা দেশাত্ববোধ দেখানোর জন্য নয় বরং দেশকে লুট করার উদ্দেশ্য নিয়ে রাখা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবারও বিহারের এনডিএ জোটের সাংসদ ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী পরামর্শ দেন, তাঁরা যেন জাতিভিত্তিক সুমারির রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে না পড়েন এবং গোটা সমাজের নেতা হয়ে ওঠেন। প্রাক্তন জোটসঙ্গী নীতীশ কুমারের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “নীতীশ কুমার মুখ্য়মন্ত্রী হওয়ার যোগ্য ছিলেন না, কারণ তাঁদের আসনসংখ্যা কম ছিল। কিন্তু তারপরও বিজেপি ওঁকে মুখ্যমন্ত্রী বানায়। এনডিএ ত্যাগ ভাবনায় বিশ্বাসী। আকালি দলও নিজের স্বার্থের জন্য আমাদের জোট ছেড়ে চলে গিয়েছিল।”
সাংসদদের প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দেন যে উন্নয়নমূলক সরকারি প্রকল্পগুলিকে যেন সাধারণ মানুষের কাছে এনডিএ সরকারের প্রকল্প হিসাবে তুলে ধরা হয় এবং এনডিএ-ই একমাত্র স্থিতিশীল সরকার গড়তে পারে, এটি তুলে ধরা হয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও উন্নয়নমূলক প্রকল্পের প্রচার করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।