নয়াদিল্লি: তাঁরা দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। তাঁদের সুসম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। এবার তাঁদের বন্ধুত্বের আরও এক ছবি দেখা দেখা গেল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পডকাস্ট শো শেয়ার করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার কয়েকঘণ্টা পর ট্রাম্পের নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ যোগ দিলেন মোদী।
রবিবার মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানকে সাক্ষাৎকার দেন মোদী। তিনঘণ্টার ওই পডকাস্টে নানা ইস্যুতে কথা বলেছেন মোদী। সেখানে যেমন উঠে এসেছে গুজরাট হিংসার কথা, তেমনই ছোটবেলার কথাও বলেছেন মোদী। আরএসএস এবং স্বামী বিবেকানন্দর কথাও বলেন তিনি।
আর এই পডকাস্টেই ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের কারণ ব্যাখ্যা করেন মোদী। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতির কথা বলতে গিয়ে তাঁর ‘ভারত প্রথম’ নীতির কথা তুলে ধরেন। তারপরই বলেন, একই ধরনের ভাবনাচিন্তার জন্যই তাঁদের মধ্যে এত ভাল সম্পর্ক। ২০২৪ সালে আমেরিকার সাধারণ নির্বাচনের প্রচারের সময় ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। ট্রাম্পের কানের পাতা ছিঁড়ে রক্ত বেরোয়। সেই অবস্থাতেই ট্রাম্প যেভাবে হাত উঁচিয়ে রেখেছিলেন, তা দেখে অভিভূত হয়েছিলেন বলে পডকাস্ট শোতে জানান মোদী। ২০১৯ সালে হাউস্টনে ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদীর এই তিন ঘণ্টার পডকাস্ট এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন ট্রাম্প। তাঁর ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ওই সাক্ষাৎকারের ইউটিউব লিঙ্ক শেয়ার করেন। ট্রাম্প ইউটিউব লিঙ্ক শেয়ার করার কয়েকঘণ্টা পরই ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ যোগ দেন মোদী। এমনকি, ওই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ২ জনকে ফলোও করেন। একজন ট্রাম্প এবং অন্যজন আমেরিকা ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। মোদী তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ছবি শেয়ার করেন। ২০১৯ সালের ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানের ছবি। যেখানে ট্রাম্পের হাত উঁচু করে তুলে ধরে রয়েছেন তিনি।
কয়েক মিনিট পর আর একটি পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, ওই সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ট্রাম্প মিডিয়া এবং টেকনোলজি গ্রুপ ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ নামে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম চালু করে।