নয়া দিল্লি : সংসদের বাজেট অধিবেশনে (Parliament Budget Session) সোমবার লোকসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। বিভিন্ন ইস্যুগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যেটি ছিল, তা হল পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যার কথা। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সাক্ষী থেকেছিল গোটা দেশ। দেশজুড়ে লকডাউন। বাস বন্ধ। ট্রেন বন্ধ। তারই মধ্যে ভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলেন। পায়ে হেঁটে। মাইলের পর মাইল পথ হেঁটেছেন। কেউ বাড়ি পৌঁছেছেন, কেউ আবার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে পথেই মারা গিয়েছেন। সেই বীভিষিকাময় ঘটনার জন্য আজ লোকসভায় বিরোধী দলগুলির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোভিডের শুরুর দিকে দিল্লি এবং মুম্বইয়ের মতো বড় শহরগুলি ছেড়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা বেরিয়ে আসার জন্য বিরোধীদেরই দায়ী করেন তিনি। সোমবার বিভিন্ন সরকারি নীতির সমালোচনার জবাব দিচ্ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সময়ই কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণকে সঙ্কটে ঠেলে “পাপ এবং এক বিশাল অপরাধ” করেছে কংগ্রেস।
লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “কংগ্রেস কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় সমস্ত সীমা পার করে গিয়েছিল। প্রথম ঢেউয়ের সময়, যখন দেশে লকডাউন চলছিল এবং যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছিল, যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকার জন্য, কংগ্রেস সেই সময় নিরপরাধ মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য মুম্বই রেলওয়ে স্টেশনে গিয়েছিল। তারা শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফিরে যেতে বলেছিল এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।” প্রধানমন্ত্রী মোদী এই ধরনের কাজকে “পাপ” বলে ব্যাখ্যা করেছেন লোকসভায়। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আপনি শ্রমিকদের সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। দিল্লিতে, সরকার জিপে করে বস্তির চারপাশে ঘুরেছে এবং মাইকে ঘোষণা করেছে যে যে বাড়িতে যেতে চান, তাঁদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে উত্তর প্রদেশ এবং পঞ্জাবেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এই রাজ্যগুলিতে এর আগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ততটা ছিল না।” লোকসভায় তিনি প্রশ্ন তোলেন বিরোধীদের উদ্দেশে, “এটা কী ধরনের রাজনীতি? আর কতদিন এই রাজনীতি চলবে? কংগ্রেসের আচরণে গোটা দেশ হতবাক।”
সরকারে না থেকেও কংগ্রেসের ঔদ্ধত্যের জন্য বিরোধী দলকে বক্রোক্তি করতেও ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আপনারা ক্ষমতা হারিয়েছেন, কিন্তু আপনাদের অহংকার যায়নি। এখন কংগ্রেস আগামী ১০০ বছর ক্ষমতায় না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “কোভিডে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে, এই চিন্তাভাবনা চলছিল। কিছু লোক ভেবেছিলেন, করোনা ভাইরাস মোদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করবে।”
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর লোকসভায় এই ভাষণের পর টুইটারে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। দেশ আশা করে, প্রধানমন্ত্রী যারা করোনার সময় যন্ত্রণা ভোগ করেছেন, যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাদের প্রতি সংবেদনশীল হবেন। জনগণের কষ্ট নিয়ে রাজনীতি করা প্রধানমন্ত্রীর শোভা পায় না।”
प्रधानमंत्री जी का ये बयान सरासर झूठ है। देश उम्मीद करता है कि जिन लोगों ने कोरोना काल की पीड़ा को सहा, जिन लोगों ने अपनों को खोया, प्रधानमंत्री जी उनके प्रति संवेदनशील होंगे। लोगों की पीड़ा पर राजनीति करना प्रधानमंत्री जी को शोभा नहीं देता। pic.twitter.com/Dd4NsRNGCY
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) February 7, 2022
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
নয়া দিল্লি : সংসদের বাজেট অধিবেশনে (Parliament Budget Session) সোমবার লোকসভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। বিভিন্ন ইস্যুগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যেটি ছিল, তা হল পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যার কথা। করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সাক্ষী থেকেছিল গোটা দেশ। দেশজুড়ে লকডাউন। বাস বন্ধ। ট্রেন বন্ধ। তারই মধ্যে ভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলেন। পায়ে হেঁটে। মাইলের পর মাইল পথ হেঁটেছেন। কেউ বাড়ি পৌঁছেছেন, কেউ আবার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে পথেই মারা গিয়েছেন। সেই বীভিষিকাময় ঘটনার জন্য আজ লোকসভায় বিরোধী দলগুলির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোভিডের শুরুর দিকে দিল্লি এবং মুম্বইয়ের মতো বড় শহরগুলি ছেড়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা বেরিয়ে আসার জন্য বিরোধীদেরই দায়ী করেন তিনি। সোমবার বিভিন্ন সরকারি নীতির সমালোচনার জবাব দিচ্ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সময়ই কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণকে সঙ্কটে ঠেলে “পাপ এবং এক বিশাল অপরাধ” করেছে কংগ্রেস।
লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “কংগ্রেস কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় সমস্ত সীমা পার করে গিয়েছিল। প্রথম ঢেউয়ের সময়, যখন দেশে লকডাউন চলছিল এবং যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছিল, যে যেখানে আছেন, সেখানেই থাকার জন্য, কংগ্রেস সেই সময় নিরপরাধ মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য মুম্বই রেলওয়ে স্টেশনে গিয়েছিল। তারা শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফিরে যেতে বলেছিল এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমণকে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।” প্রধানমন্ত্রী মোদী এই ধরনের কাজকে “পাপ” বলে ব্যাখ্যা করেছেন লোকসভায়। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আপনি শ্রমিকদের সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। দিল্লিতে, সরকার জিপে করে বস্তির চারপাশে ঘুরেছে এবং মাইকে ঘোষণা করেছে যে যে বাড়িতে যেতে চান, তাঁদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে উত্তর প্রদেশ এবং পঞ্জাবেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এই রাজ্যগুলিতে এর আগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ততটা ছিল না।” লোকসভায় তিনি প্রশ্ন তোলেন বিরোধীদের উদ্দেশে, “এটা কী ধরনের রাজনীতি? আর কতদিন এই রাজনীতি চলবে? কংগ্রেসের আচরণে গোটা দেশ হতবাক।”
সরকারে না থেকেও কংগ্রেসের ঔদ্ধত্যের জন্য বিরোধী দলকে বক্রোক্তি করতেও ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “আপনারা ক্ষমতা হারিয়েছেন, কিন্তু আপনাদের অহংকার যায়নি। এখন কংগ্রেস আগামী ১০০ বছর ক্ষমতায় না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “কোভিডে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে, এই চিন্তাভাবনা চলছিল। কিছু লোক ভেবেছিলেন, করোনা ভাইরাস মোদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করবে।”
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর লোকসভায় এই ভাষণের পর টুইটারে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। দেশ আশা করে, প্রধানমন্ত্রী যারা করোনার সময় যন্ত্রণা ভোগ করেছেন, যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাদের প্রতি সংবেদনশীল হবেন। জনগণের কষ্ট নিয়ে রাজনীতি করা প্রধানমন্ত্রীর শোভা পায় না।”
प्रधानमंत्री जी का ये बयान सरासर झूठ है। देश उम्मीद करता है कि जिन लोगों ने कोरोना काल की पीड़ा को सहा, जिन लोगों ने अपनों को खोया, प्रधानमंत्री जी उनके प्रति संवेदनशील होंगे। लोगों की पीड़ा पर राजनीति करना प्रधानमंत्री जी को शोभा नहीं देता। pic.twitter.com/Dd4NsRNGCY
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) February 7, 2022
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা