PM Modi: ‘অম্বেদকরকে পায়ের তলায় রাখে’, লালুর ভাইরাল ভিডিয়ো এখন মোদীর বড় অস্ত্র

PM Modi: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "সম্প্রতি বাবাসাহেবের ছবির সঙ্গে আরজেডি কী করেছে, তা সারা দেশ দেখেছে। আমি জানি, এরা কোনওদিন ক্ষমা চাইবেন না। কারণ, দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য তাঁদের কোনও শ্রদ্ধা নেই।"

PM Modi: অম্বেদকরকে পায়ের তলায় রাখে, লালুর ভাইরাল ভিডিয়ো এখন মোদীর বড় অস্ত্র
লালুপ্রসাদ যাদবকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীImage Credit source: PTI and Social Media

Jun 20, 2025 | 5:27 PM

পটনা: চেয়ারে পা তুলে বসে রয়েছেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব। আর তাঁর পায়ের সামনে বিআর অম্বেদকরের একটি ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। এবার তা নিয়ে আরজেডি-কে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার বিহারের সিওয়ান জেলায় একটি সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য কোনও শ্রদ্ধা নেই আরজেডি-র।

চলতি সপ্তাহে লালুপ্রসাদের ৭৮তম জন্মদিবস ধুমধাম করে পালন করা হয়। লালুপ্রসাদের জন্মদিন পালনের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই দেখা যায়, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের সামনে অম্বেদকরের ছবি। লালুপ্রসাদ বিআর অম্বেদকরকে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এদিন সিওয়ানে জনসভা থেকে সেই ভাইরাল ভিডিয়োর প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সম্প্রতি বাবাসাহেবের ছবির সঙ্গে আরজেডি কী করেছে, তা সারা দেশ দেখেছে। আমি জানি, এরা কোনওদিন ক্ষমা চাইবেন না। কারণ, দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য তাঁদের কোনও শ্রদ্ধা নেই।” এরপরই তিনি বলেন, “কংগ্রেস ও আরজেডি বাবাসাহেবের ফোটো তাদের পায়ের তলায় রেখেছে। আর মোদী নিজের হৃদয়ে রেখেছে।”

কংগ্রেস ও আরজেডির শাসনকালে বিহারের অবস্থা কেমন ছিল, এদিন তাও তুলে ধরেন মোদী। তিনি বলেন, “বিহার থেকে এত পরিযায়ী শ্রমিক ভিনরাজ্যে যাওয়ার কারণ আরজেডি ও কংগ্রেস। এই দুই দল শুধু নিজেদের পরিবারের সম্পদ বাড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রয়োজনের কথা ভাবেনি। সাধারণ মানুষ গরিবই রয়ে গিয়েছে।”

বিহারে NDA আমলে কী কী উন্নয়ন হয়েছে, সেই তথ্যও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “দেড় কোটির বেশি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। গত ১০ বছরে বিহারে ৫৫ হাজার গ্রামীণ রাস্তায় তৈরি করা হয়েছে।” ভারতের আর্থিক উন্নতিতে বিহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে।