সিমলা: চলতি সপ্তাহে শনিবার হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন (Himachal Pradesh Assembly Election 2022)। এই মুহূর্তে এই পাহাড়ি রাজ্যের ভোট প্রস্তুতি তুঙ্গে। তার মধ্যে বুধবার এক বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল হিমাচল প্রদেশ। চামবিতে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই কনভয় থামিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে, একটি অ্যাম্বুলেন্সকে পথ করে দেওয়ার জন্য কনভয় থামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদী। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, অ্যাম্বুলেন্সের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই কারণে মাঝ রাস্তায় হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে পড়েন সপার্ষদ প্রধানমন্ত্রী। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের এই মুহূর্তে ওই রাজ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
Watch this video ?
You’ll see PM Modi personally ensuring that his carcade stops so that the ambulance is given priority to pass. ? https://t.co/IRhH29aJaC pic.twitter.com/ZRo8pVBLUU— Ashish Singh (@AshishSinghNews) November 9, 2022
হিমাচল প্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কাঙরা জেলা থেকে বিরোধী কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন নমো। মোদীর দাবি, কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকাকালীন কংগ্রেস হিমাচল প্রদেশের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং রাজ্যের উন্নয়নের পথে ‘শত্রু’-র মতো আচরণ করেছে কংগ্রেস। মোদী জানিয়েছেন, রাজ্যের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বিজেপির ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন কারণ আগে কংগ্রেস এই রাজ্যে উন্নয়নে বাধা দিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল অবধি কংগ্রেস সেরাজ্যে ক্ষমতায় ছিল। মোদীর দাবি, বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর সেরাজ্যের উন্নয়নের চেষ্টা করলেও কংগ্রেস তাতে বাধা দিয়েছে।
During his election campaign in Chambi, Himachal Pradesh PM stopped his carcade to let an ambulance pass. Pics of the moment ? pic.twitter.com/LZbWy5J8Ci
— Ashish Singh (@AshishSinghNews) November 9, 2022
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, কংগ্রেস প্রতিনিয়ত সেনাবাহিনীকে অপমান করেছে এমনকী সেনা জওয়ানদের সঙ্গে গুন্ডাদের তুলনা টেনেছেন। মোদী জানিয়েছেন, জঙ্গি কার্যকলার মোকাবিলায় পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। মোদীর মতে, কংগ্রেস হিমাচলে ক্ষমতা ফিরতে প্রবলভাবে চেষ্টা করছে, কিন্তু তারা সরকারে ফিরে এলে রাজ্যের উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হবে। মোদী জানিয়েছেন, কংগ্রেস যতই চেষ্টা করুক, হিমাচল প্রদেশের জনতা বিজেপিকে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, হিমাচলের বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনও বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ডিসেম্বর মাসে ১ ও ৫ তারিখ প্রধানমন্ত্রী মোদীর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ৮ ডিসেম্বর হিমাচল ও গুজরাটের ভোট গণনা একসঙ্গে হবে। দুই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।