
নয়া দিল্লি : কৃষি আইনের মতো অগ্নিপথ যোজনাও (Agnipath Scheme) প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। অগ্নিপথ যোজনাকে কেন্দ্র করে দেশবাসী একাংশের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, তার জেরে প্রতিবাদ ছড়িয়ে একাধিক রাজ্যে। বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন অনেকে। আর এই নিয়েই এবার কেন্দ্রকে একহাত নিলেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এর জন্য দেশের যুব সমাজের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
শনিবার হিন্দিতে একটি টুইটে রাহুল গান্ধী বলেন, “বিগত আট বছর ধরে বিজেপি ‘জয় জওয়ান, জয় কিষান’ আদর্শকে অপমান করেছে। আমি আগেও বলেছিলাম, প্রধানমন্ত্রীকে কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহার করতে হবে। সেই একই রকমভাবে প্রধানমন্ত্রীকে দেশের যুব সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং অগ্নিপথ প্রকল্প প্রত্যাহার করতে হবে।”
8 सालों से लगातार भाजपा सरकार ने ‘जय जवान, जय किसान' के मूल्यों का अपमान किया है।
मैंने पहले भी कहा था कि प्रधानमंत्री जी को काले कृषि कानून वापस लेने पड़ेंगे।
ठीक उसी तरह उन्हें ‘माफ़ीवीर' बनकर देश के युवाओं की बात माननी पड़ेगी और 'अग्निपथ' को वापस लेना ही पड़ेगा।
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) June 18, 2022
মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় সরকার এই অগ্নিপথ যোজনাটির কথা ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রের থেরে জানানো হয়েছে, সাড়ে ১৭ বছর বয়স থেকে ২১ বছর বয়সি যুবকদের চার বছরের জন্য দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অগ্নিপথ যোজনার মাধ্যমে যে ‘অগ্নিবীর’দের নিয়োগ করা হবে, তাঁদের মধ্যে থেকে ২৫ শতাংশকে চার বছর পর বাহিনীতে যুক্ত করা হবে। অর্থাৎ, প্রতি চার জনের মধ্যে একজন এমন সুযোগ পাবেন। তবে যারা এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছেন, তারা মূলত এই চার বছরের মেয়াদ নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে চার বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গ্রাচুইটি এবং পেনশন সুবিধা ছাড়াই বাধ্যতামূলক অবসর নেওয়ার বিষয়টি নিয়েও উদ্বিগ্ন বিক্ষোভকারীদের একাংশ।
যদিও কেন্দ্রের তরফে দেশবাসীকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, অগ্নিপথ যোজনার আওতায় যাঁদের নিয়োগ করা হবে, তাঁদের ভবিষ্যত মোটেও অন্ধকার নয়। অসম, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ এবং হরিয়ানা সহ বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্য ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে তারা নিজেদের রাজ্য পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার দেবে।