নয়াদিল্লি: মহাকুম্ভে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামিকাল (বুধবার) প্রয়াগরাজে তিনি যাবেন। সকাল ১১টা নাগাদ সঙ্গমে ডুব দেবেন। মা গঙ্গাকে পুজো দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভে সাধুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। এমনকি, মহাকুম্ভে আসা পুণ্যার্থীদের জন্য কীরকম ব্যবস্থা রয়েছে, তা নিয়ে প্রশাসনের কাছ থেকে খোঁজখবর নিতে পারেন।
জানা গিয়েছে, সকাল ১০টা ৫ মিনিটে প্রয়াগরাজ বিমানবন্দরে নামবেন মোদী। সেখান থেকে ডিপিএস হেলিপ্যাডে পৌঁছবেন। এরিয়াল ঘাটে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছবেন সকাল পৌনে এগারোটায়। এরিয়াল ঘাট থেকে বোটে করে মহাকুম্ভে যাবেন মোদী। তারপর ১১টা থেকে সাড়ে এগারোটার মধ্যে সঙ্গম ঘাটে ডুব দেবেন।
পৌনে বারোটা নাগাদ বোটে করে এরিয়াল ঘাটে ফিরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে ডিপিএস হেলিপ্যাডে পৌঁছে প্রয়াগরাজ বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবেন। আর প্রয়াগরাজ বিমানবন্দর থেকে সাড়ে ১২টায় দিল্লি পাড়ি দেবেন মোদী। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে অর্ধকুম্ভের সময়ও প্রয়াগরাজে গিয়ে সঙ্গমে ডুব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
১৪৪ বছর পর হচ্ছে মহাকুম্ভ মেলা। গত ১৩ জানুয়ারি মহাকুম্ভ শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। উত্তর প্রদেশ প্রশাসন মনে করছে, ৪৫ দিনে দেশ-বিদেশের ৪০ কোটির বেশি পুণ্যার্থীর পা পড়বে প্রয়াগরাজে।
ভারতের আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ধর্মীয় স্থানগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছেন। এর আগে গতবছরের ১৩ ডিসেম্বর প্রয়াগরাজ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ১৬৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। কয়েকদিন আগে মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনার পরও তৎপর হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। একাধিকবার উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করেছিলেন। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন। জানা গিয়েছে, পুণ্যার্থীদের জন্য প্রয়াগরাজে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আগামিকাল তা নিয়ে খোঁজখবর নেবেন প্রধানমন্ত্রী।