AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Murder at Spa: শরীরে সবার নাম! মরে গিয়েও ধরিয়ে দিলেন খুনিদের, পুলিশ তো অবাক

Murder at Spa: গত ৩ মাস ধরে অভিযুক্তরা গুরু ওয়াঘমারেকে অনুসরণ করছিল। তারপর সন্তোষের স্পা-তেই ওয়াঘমারেকে খুনের পরিকল্পনা করে তারা। মঙ্গলবার রাতে ২১ বছরের বান্ধবীর সঙ্গে একটি বারে নিজের জন্মদিন পালন করেন ওয়াঘমারে। সেইসময় তাঁদের আশপাশেই ছিল দুই অভিযুক্ত। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রেনকোট পরে রয়েছে অভিযুক্তরা।

Murder at Spa: শরীরে সবার নাম! মরে গিয়েও ধরিয়ে দিলেন খুনিদের, পুলিশ তো অবাক
মৃতের দেহেই পাওয়া গেল সম্ভাব্য খুনিদের নাম
| Updated on: Jul 26, 2024 | 6:58 PM
Share

মুম্বই: স্পা-তে খুন হয়েছেন এক ব্যক্তি। কে বা কারা খুন করল তাঁকে? তদন্তভার নিয়ে যখন সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ, তখন তাদের হাতে ‘খুনি’-দের নাম যেন তুলে দিলেন মৃত ব্যক্তিই। অবাক হচ্ছেন? আসলে মৃত ব্যক্তির দেহেই পাওয়া গেল তাঁর সম্ভাব্য খুনিদের নাম। আর সেই নাম দেখে তদন্ত নেমে সাফল্য পেল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল একাধিক অভিযুক্তকে। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ে।

বুধবার সকালে মধ্য মুম্বইয়ের ওরলির একটি স্পা-তে খুন হন গুরু ওয়াঘমারে(৪৮)। নিজেকে তথ্যের অধিকার কর্মী বলে পরিচয় দিতেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা রয়েছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করতে গিয়েই চমকে ওঠেন চিকিৎসকরা। ময়নাতদন্তের সময় ওয়াঘমারের উরুতে তাঁরা ট্যাটু দেখতে পান। তাতে লেখা রয়েছে ২২টি নাম। কারা তাঁর ক্ষতি করতে পারে, সেই নামগুলি নিজের উরুতে লিখে রেখেছিলেন ওয়াঘমারে।

সেই ট্যাটু থেকেই জানা যায়, যে স্পা-তে খুন হয়েছেন ওয়াঘমারে, সেই স্পায়ের মালিকের নামও রয়েছে ট্যাটুতে। স্পা মালিক সন্তোষ শেরেকরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। অভিযোগ, ওয়াঘমারেকে খুনের জন্য সুপারি দিয়েছিলেন সন্তোষ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্তোষের কাছ থেকে তোলা নিতেন ওয়াঘমারে। তাই, ওয়াঘমারেকে পৃথিবী থেকে সরানোর ছক কষেন সন্তোষ। ওয়াঘমারেকে খুনের জন্য বছর ছাব্বিশের মহম্মদ ফিরোজ আনসারিকে ৬ লক্ষ টাকা তিনি দেন। আনসারিও একটি স্পা ছিল। কিন্তু, ওয়াঘমারে তা নিয়ে প্রশাসনে অভিযোগ জানানোর পরই তা বন্ধ হয়ে যায়। তাই, আনসারিরও রাগ ছিল ওয়াঘমারের উপর। ওয়াঘমারে বিভিন্ন স্পা মালিকদের কাছ থেকে তোলা নিতেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, মাস তিনেক আগেই ওয়াঘমারেকে খুনের ছক কষা হয়। খুনের জন্য দিল্লির বাসিন্দা সাকিব আনসারির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ফিরোজ আনসারি।

গত ৩ মাস ধরে অভিযুক্তরা ওয়াঘমারেকে অনুসরণ করছিল। তারপর সন্তোষের স্পা-তেই ওয়াঘমারেকে খুনের পরিকল্পনা করে তারা। মঙ্গলবার রাতে ২১ বছরের বান্ধবীর সঙ্গে একটি বারে নিজের জন্মদিন পালন করেন ওয়াঘমারে। সেইসময় তাঁদের আশপাশেই ছিল দুই অভিযুক্ত। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রেনকোট পরে রয়েছে অভিযুক্তরা।

ওই বার থেকে বান্ধবীকে নিয়ে সন্তোষের স্পাতে আসেন ওয়াঘমারে। রাত দেড়টার সময় স্পা-তে ঢোকেন ফিরোজ ও সাকিব আনসারি। অভিযোগ, স্পা-তে ঢুকে ওয়াঘমারের বান্ধবীকে অন্য একটি রুমে নিয়ে যায়। তারপর ওয়াঘমারেকে গলা কেটে খুন করে। ওয়াঘমারের বান্ধবী দাবি করেন, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি খুনের কথা জানতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে সন্তোষকে তা জানান। সন্তোষ তারও ২ ঘণ্টা পর পুলিশকে খুনের কথা জানান।

পুলিশ জানিয়েছে, সন্তোষ-সহ মোট ৫ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়। এই খুনের ঘটনায় ওয়াঘমারের বান্ধবীর কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, মুম্বই, থানে, পালঘরের একাধিক স্পা থেকে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে ওয়াঘমারের বিরুদ্ধে। ২০১০ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগ জমা পড়ে। এছাড়া ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।