Inhuman Act: দুর্ঘটনায় মৃতের দেহ নোংরা ফেলার গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে গেল পুলিশ

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Jun 02, 2022 | 5:36 PM

Jodhpur: রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহতলের শহরে কী ভাবে এ রকম ঘটনা ঘটল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। যদিও পুলিশ প্রথমে এ ভাবে দেহ নিয়ে যাওয়ার ঘটনা অস্বীকার করেছিল। কিন্তু ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই পুলিশের অবস্থানের পরিবর্তন হয়।

Inhuman Act: দুর্ঘটনায় মৃতের দেহ নোংরা ফেলার গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে গেল পুলিশ
নোংরা ফেলার গাড়িতে করে দেহ হাসপাতালে নিয়ে এসেছে পুলিশ

Follow Us

জোধপুর: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। তাঁর দেহ পড়ে রয়েছেন রাস্তায়। পথচারীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠাতে হত। এর জন্য দরকার ছিল অ্যাম্বুল্যান্সের। কিন্তু পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নোংরা ফেলার গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাজস্থানের জোধপুরে বুধবার ঘটেছে এই ঘটনা। সেই ঘটনার ভিডিয়োও ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্য়ামেরায়। এর পরই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজস্থানের মানবাধিকার কমিশন।

পুলিশ জানিয়েছে, পথ দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির নাম দেবেন্দ্র প্রজাপত। তাঁর বাড়ি বিলারা। যদিও দিনমজুরের কাজের জন্য জোধপুরেই থাকতেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে বারকাতুল্লা স্টেডিয়ামের কাছে বাসের কাছে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। বুধবার সকালে দেবেন্দ্রকে খেয়াল করেননি বাসচালক। তাঁর উপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন। এর জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এই দিনমজুরের। দেবেন্দ্রর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন পথচারীরা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সে খবর দেয়নি পুলিশ। বদলে যে ভ্যানে করে রোজ নোংরা সংগ্রহ করা হয়, সেই ভ্যানে করেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেহ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়। এ ভাবে দেহ নিয়ে যাওয়ার ঘটনার ভিডিয়ো এখন ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার পরই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

 

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহতলের শহরে কী ভাবে এ রকম ঘটনা ঘটল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। যদিও পুলিশ প্রথমে এ ভাবে দেহ নিয়ে যাওয়ার ঘটনা অস্বীকার করেছিল। কিন্তু ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই পুলিশের অবস্থানের পরিবর্তন হয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সেই তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রতাপনগরের অ্যাসিট্যান্ট পুলিশ কমিশনার প্রেম ধানে। বিষয়টি নিয়ে সে রাজ্যের মানবাধিকার কমিশন এ বিষয়ে নোটিস দিয়েছে জোধপুরের পুলিশ কমিশনারকে। ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

Next Article