পটনা ও হাওড়া: বিহারের রাজনীতির সমীকরণ কোন দিকে মোড় নিতে চলছে, তা নিয়ে তুমুল চর্চা চলছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ইন্ডিয়া জোটের প্রথম বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন তিনিই। পটনায়। কিন্তু ভোটের মুখে সব সমীকরণ যেন বদলে যেতে বসেছে। নীতীশ আবার বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এনডিএ শিবিরে ফিরতে চলেছেন বলে জল্পনা উঠেছে চরমে। কিন্তু কানাঘুষো এমনও রয়েছে, যে নীতীশ শেষ পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গে হাত মেলালেও, তাঁকে আবার মুখ্যমন্ত্রী করা নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিহারের বিজেপি নেতাদের একাংশের। সেক্ষেত্রে বিকল্প যে নামগুলি নিয়ে চর্চা চলছে, সেই তালিকায় উপরের দিকে রয়েছেন বিহারের বিজেপি নেত্রী রেণু দেবীও। আর এই বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে বাংলারও আশ্চর্য যোগ রয়েছে।
দীর্ধদিন ধরে বিজেপির সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বিহারের বেতিয়া এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর। অতীতে গুরু দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। ২০২০ সালের ভোটে জিতে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। তিনিই হলেন বিহারের প্রথম মহিলা উপমুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া সাংগঠনিক দক্ষতাও রয়েছে। বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহসভাপতি তিনি। আর এই রেণু দেবীর বাংলার সঙ্গেও অদ্ভুত যোগ রয়েছে। হাওড়ার জগাছায় বিয়ে হয়েছিল তাঁর। দীর্ঘদিন থেকেছেন হাওড়ায়। স্বামী প্রয়াত হওয়ার পর অবশ্য তিনি বিহারে ফিরে যান। তবে হাওড়ায় যাতায়াত মাঝে মধ্যেই। এখন বিহারের যা রাজনীতির সমীকরণ, তাতে নতুন করে চর্চায় উঠে এসেছেন হাওড়ার এই বধূও।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিহারের প্রাক্তন প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরি ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণির মানুষদের কাছে, তার একটি প্রভাবও পড়েছে। এমন অবস্থায়, রেণু দেবীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আনা হলে, তা বিজেপির জন্য একটি বড় বাজি হতে পারে। প্রথমত মহিলা মুখ, তার উপর তিনি অতি অনগ্রসর শ্রেণির (এক্সট্রিম ব্য়াকওয়ার্ড ক্লাস) থেকে উঠে আসা নেত্রী। ফলে লোকসভা ভোটের মুখে তা বিজেপিকে বড় ফায়দা দিতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।