পটনা: মহাগঠবন্ধন সরকার গঠন হতেই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে আগামী এক-দুই বছরের মধ্যেই বিহারে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এবার নীতীশের সেই প্রতিশ্রুতিকেই কটাক্ষ করলেন রাজনৈতিক কুশলী প্রশান্ত কিশোর। বুধবার তিনি বলেন, “নতুন মহাগঠবন্ধন সরকার যদি আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে ৫ থেকে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে, তবে আমি জন সূরজ অভিযান প্রত্যাহার করে নেব এবং নীতীশ কুমারকে সমর্থন করব।”
বুধবার বিহারে সমস্তিপুরে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য় রাখতে গিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “আরজেডি-জেডিইউ-কংগ্রেসের গঠবন্ধনের সরকারে সাধারণ মানুষের সমর্থন নেই। নীতীশ কুমার ফেভিকল দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদের সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন আর বাকি দলগুলি তাঁর আশেপাশে ঘুরে বেড়ায়।”
সম্প্রতিই নীতীশ কুমারের নয়া জোট সরকারের প্রতিশ্রুতি নিয়েই তোপ দাগেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, “যদি আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে ৫ থেকে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়, তবে আমি জন সূরজ অভিযান প্রত্যাহার করে নেব এবং নীতীশ কুমার সরকারকে সমর্থন জানাব।”
আগামিদিনে বিহারের রাজনীতিতে আরও পরিবর্তন আসবে, এই দাবি করে পিকে আরও বলেন, “মাত্র তিন মাস হয়েছে আমি বিহারের রাজনীতিতে প্রবেশ করেছি। এরমধ্যেই রাজনৈতিক পরিস্থিতি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে। ভবিষ্যতে আরও পরিবর্তন আসবে।”
উল্লেখ্য, আগে জেডিইউকে সমর্থন করলেও, চলতি বছরের শুরুতেই প্রশান্ত কিশোর নিজের রাজনৈতিক অভিযান শুরু করার ঘোষণা করেন। বিহারের সাধারণ মানুষের সমস্যা বোঝা ও তার সমাধান খোঁজার জন্যই তিনি জন সূরজ অভিযান শুরু করার ঘোষণা করেন।
বিহাের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব সম্প্রতিই ঘোষণা করেছিলেন যে ২০২০ সালে আরজেডি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে যে ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা এবার নতুন সরকার পূরণ করবে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, “সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র মিলিয়ে আমরা ২০ লক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। তেজস্বীর মতো নতুন প্রজন্মের মানুষও আমাদের পাশে রয়েছে। আমরা মিলিতভাবে কর্মসংস্থানের ব্য়বস্থা করব। আমাদের লক্ষ্য হল উন্নত রাজ্য হিসাবে বিহারকে তুলে ধরা।”