মির্জাপুর: যতদিন যাচ্ছে মানুষের অধঃপতন ক্রমশই বাড়ছে। মাঝে মাঝে হয়ত এমন ঘটনা সামনে আসে, যাতে নিজেদের মানুষ বলে পরিচয় দিতেই লজ্জা লাগে। মান আর হুঁশ নিয়ে মানুষ। কিন্তু সেই মানুষের আচরণেই কখনও কখনও এমন পরিস্থিতি তৈরি করে যা পশুদের আচরণকেও হার মানায়। যৌন লালসা মানুষকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, তার ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে। মাঝেমাঝেই এমন নির্মম ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে যা শুনে অনেকেই অবাক হয়ে যান। হাসপাতালে ভর্তি হয়েও নিস্তার পেলেন না এক গর্ভবতী মহিলা। হাসপাতালের সাফাই কর্মীর বিরুদ্ধে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) মির্জাপুরে (Mirzapur) এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা শৌচাগারে গিয়েছিলেন সেই সময়ই তাঁকে বলপূর্বক ধর্ষণ (Physical Assault ) করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছে।
৭ মে শনিবার মির্জাপুরের জেলা হাসপাতালে এই পৈশাচিক ঘটনাটি ঘটেছে বলেই জানা গিয়েছে। ওই মহিলা ৩ মাসের গর্ভবতী বলেই জানা গিয়েছে। অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পরই ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। রাত ৯ টার নাগাদ হাসপাতাল পরিষ্কারের সময় মহিলা শৌচাগারে গিয়েছিলেন সেই সময়ই এই ঘটনাটি ঘটেছিল বলেই জানিয়েছে পুলিশ। নিগৃহীত মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, বাথরুমে জোর করে তাঁর জামাকাপড় খুলে দেওয়া হয়েছিল এবং অভিযুক্ত তাঁকে প্রশ্ন করে, ‘তুমি নগ্ন, বাইরে বেরোবে কী ভাবে?’ এরপরই মুখে হাত দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে বাড়ি গিয়ে নিজের স্বামীকে গোটা ঘটনার কথা জানাতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত সাফাই কর্মী পলাতক বলেই জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, দ্রুত তাঁকে গ্রেফতার করা হবে, পুলিশ সুপার অজয় কে সিং এমনটাই জানিয়েছেন।