নয়া দিল্লি: দেশের প্রতিটি নাগরিকই সমান। প্রত্যেকের সমান অধিকার রয়েছে। ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এমনই জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এপ্রসঙ্গে সমাজের সমস্ত ক্ষেত্রে মহিলাদের ‘এগিয়ে আসা’র এবং ‘প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা’র আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি (President Droupadi Murmu)। সংবিধানের সমানাধিকারের উল্লেখ করে এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, “প্রত্যেক ভারতীয় সমান নাগরিক। এই দেশে প্রত্যেকের সমান সুযোগ, সমান অধিকার এবং সমান কর্তব্য রয়েছে। জাতি, ধর্ম, ভাষা-সহ সমস্ত পরিচয়ের ঊর্ধ্বে সকলের একটাই পরিচয়, তাঁরা ভারতীয়।”
রাষ্ট্রপতি হিসাবে দ্রৌপদী মুর্মু এদিন দ্বিতীয় ভাষণ দেন। এই ভাষণের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি সমস্ত নাগরিকের সমান অধিকার এবং মহিলাদের ক্ষমতায়নের উপরই জোর দেন। বর্তমানে মহিলারা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, দেশের উন্নয়নে বিশেষ দায়িত্ব পালন করছেন, যা আগে কল্পনা করা যেত না বলেও দাবি রাষ্ট্রপতির। তিনি বলেন, “আজ মহিলারা দেশের উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে এবং দেশসেবায় তাঁদের অবদান রাখছেন, যা দেশকে গৌরবান্বিত করে তুলছে। আজ আমাদের মহিলারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেভাবে অংশগ্রহণ করেছেন, সেটা কয়েক দশক আগেও ভাবা যেত না।”
মহিলারা যেমন দেশের উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে, তেমনই আর্থিকভাবে তারা অনেকটাই স্বনির্ভর হয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রপতি। তাঁর কথায়, “মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতায়ন পরিবার ও সমাজে তাদের অবস্থান দৃঢ় করে তোলে।” মহিলাদের আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে দেশের মহিলা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, “আমি চাই, দেশের মেয়েরা এগিয়ে আসুক।” এপ্রসঙ্গে সরোজিনী নাইডু, আম্মু স্বামীনাথন, রমা দেবী, অরুণা আসফ-আলি এবং সুচেতা কৃপালিনীর প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। আবার জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর প্রত্যেক পদক্ষেপে মা কস্তুরবার ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি।
কেবল দেশে মহিলাদের অগ্রগতি নয়, বিশ্বের দরবারেও ভারত সঠিক স্থানে উন্নীত হয়েছে বলে দাবি জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তিনি বলেন, “গোটা বিশ্বে উন্নয়ন এবং মানবিকতার প্রচারে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আন্তর্জাতিক ফোরামের নেতৃত্বও গ্রহণ করেছে ভারত।” এপ্রসঙ্গে জি-২০-র সভাপতিত্বের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি।