Farm bill repeal: কৃষি আইন প্রত্যাহার বিলে সই করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ

Ramnath Kovind: বরাবরই এই বিল নিয়ে সরকারকে দোষারোপ করে এসেছে কৃষক সংগঠন ও বিরোধীরা। কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরেও আন্দোলন থেকে সরে আসতে নারাজ কৃষকরা। আন্দোলনের সময়ে মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি।

Farm bill repeal: কৃষি আইন প্রত্যাহার বিলে সই করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ
রামনাথ কোবিন্দ। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2021 | 8:39 PM

নয়া দিল্লি: লোকসভা ও রাজ্যসভা পাশ হওয়া তিনটি কৃষি আইন বাতিল বিলে সই করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ। দীর্ঘদিন ধরে এই বিল তিনটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন কৃষকরা। মূলত পঞ্জাব, হরিয়ান ও পূর্ব উত্তর প্রদেশের কৃষকদের এই আইন বিরোধী আন্দোলন অংশগ্রহন ছিল চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘ এক বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসার পর কৃষকদের দাবিকেই মান্যতা দেয় সরকার।

সোমবার, সংসদে লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই বিল পেশ করে সরকার। সেখানেই ধ্বনি ভোটে এই আইন পাশ হয়ে যায়। এই বিল নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভের মাঝেও মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যে এই বিল পাশ করে সরকার। অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী সাংসদরা (Opposition MPs) কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করলে দুপুর ১২টা অবধি লোকসভা স্থগিত করে দেওয়া হয়. পরে ফের অধিবেশন শুরু হলে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার (Narendra Singh Tomar) কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করেন এবং তা ধ্বনি ভোটে পাশ করানো হয়। রাজ্যসভায় খুবই সামান্য আলোচনার পরই পাশ হয় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল।

গত বছরের সেপ্টেম্বর সংসদে পাশ হওয়ার পর তিন কৃষি আইন তৈরি হয়েছিল। আর তারপর থেকেই কৃষকদের একটি অংশ বিক্ষোভ শুরু করেছিল। আইন পাশের বিরোধিতা করে দীর্ঘ এক বছর ধরে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন কৃষকরা একাংশ। কেন্দ্রের তরফে একাধিকবার বিক্ষোভরত কৃষকদের এই আইনগুলির সুবিধার কথা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এরই মধ্যে গুরু নানকের জন্মজয়ন্তীতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

বরাবরই এই বিল নিয়ে সরকারকে দোষারোপ করে এসেছে কৃষক সংগঠন ও বিরোধীরা। কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরেও আন্দোলন থেকে সরে আসতে নারাজ কৃষকরা। আন্দোলনের সময়ে মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। নিজেদের দাবি দাওয়া পেশ করতে তাঁরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার দাবিও জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছেই হয়তো এই কথাটি অজানা যে, আমাদের দেশের ১০০ জন কৃষকের মধ্যে ৮০ জনই ছোট কৃষক। তাদের কাছে দুই হেক্টরেরও কম জমি রয়েছে। এই ছোট কৃষকদের সংখ্যা ১০ কোটিরও বেশি। আমরা কৃষকদের উন্নয়ন ও মঙ্গল কামনাতেই সয়েল হেলথ কার্ড, ইউরিয়া, উন্নত মানের বীজ প্রদান করে কৃষিকাজে যথাসাধ্য় সাহায্য করেছি। ফসল বীমা যোজনার অধীনে আরও কৃষকদের আনা হয়েছে। এরফলে বিগত চার বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে কৃষকরা।”

আরও পড়ুন গোয়ার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সরব কংগ্রেস সভাপতি