Essential Medicines: মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ! একলাফে জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়ছে ১২ শতাংশ
Essential Medicines: এই নিয়ে পরপর দু বছর জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়ল ১০ শতাংশের বেশি। গত বছর ১১ শতাংশ বেড়েছিল দাম।
নয়া দিল্লি: দাম বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। বাজারে গেলেই টান পড়ে মধ্যবিত্তের পকেটে। এরই মধ্যে আরও একটা বড় ধাক্কা! একলাফে অনেকটাই দাম বাড়তে চলেছে ওষুধের। আধুনিক জীবনযাত্রায় রোগের প্রকোপ যে ভাবে দিনে দিনে বাড়ছে, তাতে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রয়োজনীয় বা জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে একধাক্কায় ১২ শতাংশ। ওষুধের বার্ষিক মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ হার। ১ এপ্রিল থেকে ৩৮৪ টি ওষুধের দাম বাড়বে বলে জানা গিয়েছে।
আদতে হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স (WPI) বেড়েছে। তার প্রভাবেই ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে। শুধুমাত্র ৩৮৪ টি ওষুধ নয়, ১০০০ বা তারও বেশি ওষুধ তৈরির প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও পড়বে প্রভাব। এই হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সের ওপর ভিত্তি করেই জরুরি তালিকাভুক্ত বা ন্যাশনাল লিস্ট অব এসেন্সিয়াল মেডিসিনস-এর তালিকায় থাকা ওষুধগুলির দাম বাড়তে চলেছে। বিভিন্ন রাজ্যের সরকার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রোগ্রামে এই ওষুধগুলি ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও গ্রাহকদেরও সরাসরি বিক্রি করা হয় এই সব ওষুধ।
১ এপ্রিল থেকে ওষুধের দাম বাড়তে পারে। এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে পরপর দু বছর জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়ল ১০ শতাংশের বেশি। গত বছর ১১ শতাংশ বেড়েছিল দাম। এবার বাড়ল ১২ শতাংশ। গত বছরের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকার ৩৮৪ টি ওষুধের তালিকা তৈরি করেছে। সাত বছর আগের যে তালিকা ছিল, তাতে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে ২০২২-এ। বেশ কয়েকটি ওষুধ বদলও করা হয়েছে। মূলত জ্বর, ইনফেকশন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, চর্মরোগ, রক্তাল্পতার মতো সমস্যায় যে ওষুধগুলি সাধারণত দেওয়া হয়, সেগুলিই রয়েছে এই তালিকা। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের আগে একধাক্কায় এত মূল্যবৃদ্ধি দেখা যায়নি ওষুধের ক্ষেত্রে। সাধারণত ২ থেকে ৩ শতাংশ দাম বাড়ত প্রতি বছর। এবার সেই হার বেড়ে হয়েছে ১২।