
ঝাড়সুগুড়া: গা-ঢাকা গিয়েছিলেন ওড়িশায়। সেখান থেকেই জাফরাবাদে পিতা-পুত্রকে খুনে অন্যতম অভিযুক্ত জিয়াউল শেখের দুই পুত্রকে আটক করল বেঙ্গল এসটিএফ। ওড়িশার ঝাড়সুগুড়া থেকে আটক করা হয়েছে আরও ১৩ জনকে। মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনার পরই তাঁরা ঝাড়সুগুড়ায় গা-ঢাকা দিয়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে গোলমাল বাধে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায়। জাফরাবাদে পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। গত শনিবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে জিয়াউল শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেঙ্গল এসটিএফ এবং স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তাঁকে গ্রেফতার করে। জাফরাবাদের পাশের সুলিতলা পূর্বপাড়ার বাসিন্দা জিয়াউল। পিতা-পুত্রকে খুনে অন্যতম অভিযুক্ত তিনি। তাঁকে নিয়ে ওই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসটিএফের পাঁচ সদস্যের টিম ঝাড়সুগুড়া জেলায় আসে। বন্ধাবাহাল এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে জিয়াউল শেখের দুই পুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। মুর্শিদাবাদ হিংসায় জড়িত সন্দেহে ওড়িশা থেকে আরও ১৩ জনকে আটক করা হয়।
জানা গিয়েছে, কাজের জন্য মুর্শিদাবাদ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঝাড়সুগুড়া যান। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, অভিযুক্তরা ইদের সময় মুর্শিদাবাদের ফিরেছিলেন। এবং হিংসার ঘটনার পর ওড়িশায় চলে আসেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় জড়িত ছিলেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, জাফরাবাদে পিতা-পুত্রকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন জিয়াউল হক। তিনিই হামলায় উস্কানি দিয়েছিলেন। হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসকে খুনের ঘটনায় জিয়াউল ছাড়াও কালু নাদার, দিলদার এবং ইনজামাম উ হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার জিয়াউলের দুই সন্তানকে আটক করল পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে কী তথ্য সামনে আসে, সেটাই দেখার।