India’s Private Rail Station: এসি লাউঞ্জ থেকে ফুডকোর্ট, দেশের প্রথম বেসরকারি রেল স্টেশন যেন ‘আশ্চর্য প্রদীপ’

India's Private Rail Station: তবে জানেন কি, বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই ভারতে রয়েছে একটি বেসরকারি রেল স্টেশন। ২০০৭ সালে এই রেল স্টেশনকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেয় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক।

Indias Private Rail Station: এসি লাউঞ্জ থেকে ফুডকোর্ট, দেশের প্রথম বেসরকারি রেল স্টেশন যেন আশ্চর্য প্রদীপ
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Getty Image

|

Mar 30, 2025 | 3:08 PM

ভোপাল: পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের তালিকায় ভারত চতুর্থ স্থানে। বর্তমানে গোটা দেশে প্রায় ৭০ হাজার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছোটে ট্রেন। সুতরাং, এই নিরিখে বলা যেতেই পারে, রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম দেশগুলির মধ্যে ভারতও একটি।

তবে এই রেল পরিষেবা ঘিরে একটা বিতর্ক বরাবরের। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরেই জানিয়েছিল, দেশের বেশ কিছু রেল স্টেশন তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থার হাতে। অর্থাৎ, স্টেশনের পরিষেবা, দায়-দায়িত্ব, সবই দেখবে বেসরকারি কোনও এক সংস্থা।

তবে জানেন কি, বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই ভারতে রয়েছে একটি বেসরকারি রেল স্টেশন। ২০০৭ সালে এই রেল স্টেশনকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেয় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক। অবশ্য, এই স্টেশন কিন্তু দেশের কোনও নামী বড় শহরে নেই।

স্টেশনের খোঁজে

দেশের প্রথম বেসরকারি রেল স্টেশনের হদিশ মিলবে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। ২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক এই স্টেশনটি তুলে দেয় বন্সাল ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর হাতে। সেই থেকেই তারা এই স্টেশনের দেখভাল করছে।

ভোপালের এই হাবিব গঞ্জ রেলস্টেশন, যা পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়, রানি কমলাপতি রেল স্টেশন, পরিষেবায় কিন্তু কোনও বিমানবন্দরের থেকে কম নয়। জানা গিয়েছে, এই রেল স্টেশনটির উন্নয়নের জন্য মোট একশ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল, বন্সাল গোষ্ঠী (Bansal Group)। তবে এমনটা নয়, যে এই গোটা স্টেশনের মালিকানা ওই একটা গোষ্ঠীর হাতে।

রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, পিপিপি মডেলে (PPP Model) এই স্টেশনের মালিকানা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার অর্থ, গোটা স্টেশনটিতে পরিষেবা প্রদান ও উন্নয়নের কাজ একটি বেসরকারি গোষ্ঠী সামলালেও, তাদের প্রতিটি কাজে নজরদারি চালাবে কেন্দ্র সরকার।

কী কী পরিষেবা রয়েছে এই স্টেশনে?

যাত্রীদের কথায়, এই হাবিবগঞ্জ স্টেশন এক নিমিষে টেক্কা দিতে পারবে যে কোনও বিমানবন্দরকেও। নীল-সাদা রঙ। যাত্রীদের জন্য বাতানুকূল অপেক্ষমান ঘর বা ওয়েটিং রুম, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বাথরুম ও ফুড কোর্ট। স্টেশনের স্তম্ভে স্তম্ভে রয়েছে সিসিটিভি। কড়া নিরাপত্তা।