পুণে: নদী থেকে একই পরিবারের সাত জনের দেহ উদ্ধার হল। ওই পরিবারের সদস্যরা গত কয়েক দিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি নদীতে নিখোঁজদের এক জনের দেহ উদ্ধার হয়। এর পর পুলিশের নির্দেশে নদীতে তল্লাশি শুরু করে ডুবুরি দল। তিন দিন তল্লাশি চালিয়ে মোট সাত জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই সাত জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে মৃত সাত জন একই পরিবারের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। মহারাষ্ট্রের পুণেতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার দেহ উদ্ধারের কথা জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
ঘটনা নিয়ে পুণের পুলিশ সুপার আনন্দ ভাটে জানিয়েছেন, পুণের দাউন্দে ভীমা নদীতে মিলেছে একই পরিবারের ৭ সদস্যের দেহ। ওই পরিবার থাকত পুণের শহরতলি আহমগনগরে। গত কয়েক দিন ধরেই ওই পরিবারের সদস্যদের খোঁজ মিলছিল না। ওই পরিবারের লোকেদের কল ডিটেলসের সূত্র ধরে তাঁদের খোঁজ শুরু হয় বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ সুপার।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের এক জন সদস্য কেবল মাত্র বেঁচে রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির সঙ্গে এক বিবাহ মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ওই মহিলা তাঁদের আত্মীয়ও হন। এ নিয়ে সামাজিক লোকলজ্জার ভয় চেপে ধরেছিল ওই পরিবারকে। ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করকার চেষ্টা করা হয়েছিলও বলে স্থানীয় সূত্রে জানতে পেরেছে পুলিশ। কিন্তু সম্প্রতি ওই মহিলার সঙ্গে পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি। এর পর থেকেই নিখোঁজ ছিল ওই পরিবারের সদস্যরা। তার পর নদী থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার হল তাঁদের। স্থানীয়দের অনুমান, সামাজিক স্টিগমার ভয়েই আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন ওই পরিবারের লোকেরা। দেহ গুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃত্যু কারণ জানার চেষ্টা চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।