AI Camera in Jail: বন্দিদের উপর নজর রাখবে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’! মাদক-ফোন কিচ্ছু ঢোকার উপায় নেই
AI Camera in Jail: মাদক হোক কি মোবাইল ফোন বা অন্য যো কোনও সন্দেহজনক বস্তু - ক্যামেরায় ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এআই তা চিনে নেবে। অ্যালার্ম বাজিয়ে সতর্ক করবে জেল কর্তৃপক্ষকে। ফলে, বন্দিদের কাছে এই সকল বেআইনি জিনিস পাচার করা পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চণ্ডীগঢ়: জেলের ভিতর বন্দিদের মাদক বা মোবাইল ফোন সরবরাহ করা, গোটা দেশের কারাগারগুলির সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, অবৈধভাবে আনা এই মোবইল ফোনের মাধ্যমে জেলে বসেই বহাল তবিয়তে, বাইরে থাকা অপরাধীদের দিয়ে অপরাধ করিয়ে চলেছে কোনও অপরাধী। এবার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে পঞ্জাব। সেখানকার সরকার কারাগারগুলিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে, জেলের ভিতর মাদক হোক কি মোবাইল ফোন বা অন্য যো কোনও সন্দেহজনক বস্তু – ক্যামেরায় ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এআই তা চিনে নেবে। অ্যালার্ম বাজিয়ে সতর্ক করবে জেল কর্তৃপক্ষকে। ফলে, বন্দিদের কাছে এই সকল বেআইনি জিনিস পাচার করা পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ সালে, পঞ্জাবের বিভিন্ন জেল থেকে ৪,৭১৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছিল। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেই প্রয়ুক্তির সহায়তা নিচ্ছে সরকার। কারাগারে যাওয়া-আসার সময়, সকল ব্যক্তিদের ফুল বডি স্ক্যান করা হবে। আর কারাগারের ভিতর নজরদারি চালাবে এআই-এর চোখ। কারাগার বা বন্দিদের ব্যারাকে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে, সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করবে এআই। এর জন্য পঞ্জাবের সমস্ত জেলে এআই-পরিচালিত সিসিটিভি নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে। প্রথমে পঞ্জাব পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশন পঞ্জাবের আটটি জেলে এই ব্যবস্থা স্থাপন করছে। কারাগার প্রাঙ্গণ বা ব্যারাকের বাইরে থেকে ভিতরে বা আশেপাশে কোনও জিনিস যদি ছুড়েও দেওয়া হয়, সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। এর ফলে, কারাগারের প্রত্যেক বন্দির উপর নজরদারির কাজ অনেক সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এআই ক্যামেরা এবং বডি স্ক্যানার বসানোর জন্য ইতিমধ্য়েই দরপত্র চেয়েছে পাঞ্জাব জেল পুলিশ প্রশাসন। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এই প্রক্রিয়া শেষ হলে, ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হবে। আটটি জেলে ক্যামেরা এবং বডি স্ক্যানার বসাতে চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগবে। ৭ ফেব্রুয়ারি, পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে এই কাজের অগ্রগতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে সরকারকে। এর পাশাপাশি, লুধিয়ানায় একটি নতুন হাই সিকিওরিটি জেল তৈরি করতে চলেছে পঞ্জাব পুলিশ। ইতিমধ্যেই এর কাজ শুরু হয়েছে। লুধিয়ানার গর্সিয়া কাদের বক্স গ্রামে তৈরি হচ্ছে এই জেল। বন্দিদের বিশেষ ব্যারাকে রাখা হবে। তাদের শুনানিও হবে কারাগার থেকেই। তার জন্য কারাগারে আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত কক্ষ তৈরি করা হচ্ছে।
তবে, কারাগারে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে দেশের মধ্যে পঞ্জাব প্রথম রাজ্য নয়। এর আগেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে গুজরাটের ভদোদরা কারাগারে। বন্দীদের নজরদারি এবং জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।