Protest: ‘আমি চোর ধরি আর ওঁরা ঘুষ খেয়ে ছেড়ে দেয়’, হাইওয়েতে শুয়ে প্রতিবাদ হোমগার্ডের

Corruption: ভিডিয়োয় দেখা যায়, ওই হোমগার্ড চার লেনের হাইওয়েতে দড়ি বাঁধছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক পুলিশকর্মী এসে তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপরই হোমগার্ড একটি বাসের সামনে শুয়ে পড়েন। ওই হোমগার্ডকে তুলতে গিয়ে পুলিশকর্মীর সঙ্গে ব্যাপক বচসা শুরু হয়।

Protest: আমি চোর ধরি আর ওঁরা ঘুষ খেয়ে ছেড়ে দেয়, হাইওয়েতে শুয়ে প্রতিবাদ হোমগার্ডের
রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ।Image Credit source: Twitter

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jul 23, 2023 | 7:19 AM

চণ্ডীগঢ়: হাইওয়েতে স্তব্ধ যান-চলাচল। সবাই হাঁ করে দেখছেন যে বাসের সামনে শুয়ে রয়েছেন হোমগার্ড (Home Guard)! এটাই নাকি বিক্ষোভ তাঁর। ওই হোমগার্ডের দাবি, পুলিশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন তিনি। যাদেরই গ্রেফতার করে আনেন তিনি, থানার পুলিশকর্মীরা তাদের ঘুষ খেয়ে ছেড়ে দেন। এর প্রতিবাদেই তিনি রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ করেন। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের (Punjab) জলন্ধরে। পথ আটকে ওই হোমগার্ড প্রতিবাদ করায়, হাইওয়ের উপরে ব্যাপক যানজট হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, হোমগার্ড রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ করছেন। এক পুলিশ অফিসার এসে তাঁকে সরানোর চেষ্টা করছেন। ওই হোমগার্ডকে পুলিশ অফিসার লাথি মারছেন, এমনও দেখা যায়। ওই হোমগার্ড বলেন, “আমি চোর ধরি আর আমার পুলিশ স্টেশনের অফিসাররা তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অপরাধীদের ছেড়ে দেয়।”

শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে জলন্ধরের পাঠানকোট হাইওয়েতে। সূত্রের খবর, ওই হোমগার্ড শুক্রবার একজনকে গ্রেফতার করেন এবং ভোগপুর পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যান। পরেরদিন ওই অভিযুক্তের খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন, যাকে গ্রেফতার করে এনেছিলেন, তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই তিনি রেগে হাইওয়েতে গিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন।

ভিডিয়োয় দেখা যায়, ওই হোমগার্ড চার লেনের হাইওয়েতে দড়ি বাঁধছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক পুলিশকর্মী এসে তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপরই হোমগার্ড একটি বাসের সামনে শুয়ে পড়েন। ওই হোমগার্ডকে তুলতে গিয়ে পুলিশকর্মীর সঙ্গে ব্যাপক বচসা শুরু হয়। পুলিশকর্মী হোমগার্ডকে লাথিও মারেন। বাসটি হোমগার্ডকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, ওই হোমগার্ড উঠে আবার বাসের সামনে শুয়ে পড়েন।

ভোগপুর পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ বলেন, “একটি বচসার ঘটনায় হোমগার্ড এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে এসেছিলেন। ওই ব্যক্তি জামিনের আবেদন করেন এবং পেয়েও যান। সেই কারণেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কোনও ঘুষ নেওয়া হয়নি”। পুলিশের তরফে ওই হোমগার্ডকে লাথি মারার অভিযোগও অস্বীকার করা হয়েছে।