চণ্ডীগঢ়: তাঁরাও মানুষ, রক্তমাংসের শরীর রয়েছে তাঁদের। তবুও সমাজের অংশ বলে মানা হত না। দীর্ঘ সময় ধরে লড়াইয়ের পর তৃতীয় লিঙ্গের মর্যাদা আদায় করতে সফল হয়েছে রূপান্তরকামীরা (Transgenders)। তবে লড়াই এখানেই শেষ হয়নি। সমাজে স্বীকৃতি অর্জন করলেও পেট চালানোর জন্য কাজের সুযোগ কোথায়? রূপান্তরকামীদের কর্মসংস্থানের জন্য় কেন্দ্রের নির্দেশ থাকলেও তা মানা হয় না অধিকাংশ জায়গাতেই। এবার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের জন্য সুখবর দিল পঞ্জাব পুলিশ (Punjab Police)। এবার থেকে পঞ্জাবের পুলিশ বাহিনীতে সামিল হতে পারবে রূপান্তরকামীরাও।
পঞ্জাব পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রূপান্তরকামীরাও এবার থেকে পুলিশে চাকরি করতে পারবেন। রূপান্তরকামী আইন ২০১৯ কার্যকর করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরফলে পুরুষ ও মহিলাদের পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গও সরকারি চাকরির সুযোগ পাবেন। সমাজের মধ্যে বিভেদ দূর করতে ও রূপান্তরকামীদের মূল স্রোতে সামিল হতে সাহায্যের জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য় সরকার ও পুলিশের তরফে।
ইতিমধ্যেই পঞ্জাব পুলিশের হেডকোয়ার্টার থেকে সমস্ত শাখায় নির্দেশিকা পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, যে কোনও বিভাগে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেই যেন রূপান্তরকামীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হয়। সংরক্ষিত শ্রেণিভুক্ত হবেন তৃতীয় লিঙ্গের আবেদনকারীরা। বর্তমানে যুব প্রজন্মের কর্মসংস্থানের জন্য পুলিশ বিভাগে যে বিশেষ নিয়োগ কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে, সেখানেও রূপান্তরকামীদের জন্য় একটি বিশেষ বিভাগ সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এই শূন্যপদে আবেদনের জন্য জেলাশাসকের কাছ থেকে বের করা শংসাপত্র জমা দিতে হবে রূপান্তরকামী ও রূপান্তরিতদের।
সংরক্ষিত শ্রেণির জন্য বয়সসীমা থেকে শুরু করে আবেদন ফি-তে যে ছাড়গুলি পাওয়া যায়, তা এবার থেকে পাবেন রূপান্তরকামী ও রূপান্তরিত আবেদনকারীরাও। নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল স্ক্রিনিং ও ফিজিক্যাল মেজারমেন্ট পরীক্ষায় মহিলাদের নিয়োগে ব্য়বহৃত মাপকাঠিই কার্যকর হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত উল্লেখ করা থাকবে। এই বিষয়ে পঞ্জাবের ডিজিপি গৌরব যাদব বলেন, “রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে তৃতীয় লিঙ্গ বিশেষভাবে উপকৃত হবে।”