
চণ্ডীগড়: পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে ভারতীয় সেনার গতিবিধির খবর কি ISI-র কাছে পৌঁছে যেত? মঙ্গলবার পঞ্জাব পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পর এই প্রশ্ন উঠছে। পঞ্জাবের তরণ তারণ থেকে গগনদীপ সিং নামে ওই ব্যক্তিকে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। পঞ্জাবের ডিজিপি গৌরব যাদব জানিয়েছেন, পাকিস্তানের খলিস্তানপন্থী নেতা গোপাল সিং চাওলার সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল ধৃতের। গগনদীপের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। যেখানে পাকিস্তানি ইন্টেলিজেন্স অপারেটিভসের (PIO) সঙ্গে শেয়ার করা তথ্য পাওয়া গিয়েছে। মোবাইলে ২০ জনের বেশি আইএসআই এজেন্টের নম্বর রয়েছে।
পঞ্জাবে ডিজিপি গৌরব যাদব জানিয়েছেন, “ইন্টেলিজেন্সের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পরই গগনদীপকে ধরতে অভিযান চালানো হয়। তরণ তারণের মহল্লা রোদুপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইএসআইয়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। অপারেশন সিঁদুরের পর সেনার গতিবিধি নিয়ে স্পর্শকাতর তথ্য শেয়ার করেছেন তিনি।” গত ৭ মে গভীর রাতে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় আঘাত হানে। একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। পুলিশ বলছে, অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে বিভিন্ন জায়গায় সেনা মোতায়েন ও কৌশলগত অবস্থানের মতো গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাচার করেছেন গগনদীপ। যা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের খলিস্তানপন্থী নেতা গোপাল সিং চাওলার সঙ্গে গত ৫ বছর ধরে যোগাযোগ রেখে চলেছিলেন গগনদীপ। খলিস্তানপন্থী এই নেতা পাকিস্তানি ইন্টেলিজেন্স অপারেটিভদের সঙ্গে গগনদীপের পরিচয় করিয়ে দেন। ভারতীয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে PIO গগনদীপকে টাকা পাঠাত বলেও জানা গিয়েছে।
পঞ্জাবের ডিজিপি জানিয়েছেন, গগনদীপের বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয়েছে। পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরচক্রের খোঁজে তদন্ত চলছে। ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় পঞ্জাব পুলিশ সর্বদা সজাগ রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।