পুরী: ৪৬ বছরের অপেক্ষা। অবশেষে দরজা খুলেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারের দরজা। রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরের দরজা তালাও ভাঙা হয়েছে। ভিতর থেকে বের করা হয়েছে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিপুল সোনা-দানা। তবে রত্ন ভাণ্ডারের ভিতর থেকে শুধু সোনাদানাই নয়, উদ্ধার হয়েছে আরও বহুমূল্য সম্পদ। এই সম্পদের কথা ৪৬ বছর আগে হওয়া সমীক্ষাতেও উল্লেখ ছিল না। কী সেই জিনিস জানেন?
আজ, বৃহস্পতিবার ফের রত্ন ভাণ্ডারের দরজা খোলা হচ্ছে। রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরে ভিডিয়ো সমীক্ষা করা হবে। রত্ন ভাণ্ডারের ভিতর থেকে যে সোনাদানা উদ্ধার হয়েছে, তা স্ট্রং রুমে স্থানান্তরিত করা হবে।
১৪ জুলাই, রবিবার বিশেষ কমিটির তত্ত্বাবধানে খোলা হয় পুরী মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারের দরজা। এই রত্ন ভাণ্ডারের দুটি অংশ রয়েছে। বাইরের অংশ থেকে জগন্নাথ দেব, বলরাম দেব ও সুভদ্রা দেবীর সোনা-রুপোর গহনা মিলেছে। সেই গহনাগুলি বিশেষ ট্রাঙ্কে ভরে রাখা হয়েছে। আজ অস্থায়ী স্ট্রং রুমে গহনা স্থানান্তর করা হবে।
এদিকে জানা গিয়েছে, রত্ন ভাণ্ডারের ভিতর থেকে সোনা-রুপোর গহনা ছাড়াও অনেক প্রাচীন মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। রত্ন ভাণ্ডারের ভিতর থেকে এই মূর্তিগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বহুমূল্য ধাতু দিয়ে তৈরি এই মূর্তিগুলি। তবে বিগত চার দশক ধরে রত্ন ভাণ্ডারের দরজা বন্ধ থাকায়, তা সম্পূর্ণ কালো হয়ে গিয়েছে। আনুমানিক ৫ থেকে ৭টি মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে।
১১ সদস্যের যে কমিটি রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরে ঢুকেছিলেন, তার চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ রথ বলেন, “আমরা ওই মূর্তিগুলি ছুঁইনি। মূর্তিগুলি দেখতে পেয়েই আমরা প্রদীপ জ্বালাই এবং পুজো করি। আপাতত মূর্তিগুলিকে স্ট্রং রুমে স্থানান্তরিত করা হবে। সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার পরই মূর্তিগুলির ওজন ও অন্যান্য বিষয়গুলি জানা যাবে।”
কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরের অংশে থাকা আলমারি ও সিন্দুকের ভিতরে কী রয়েছে, সে সম্পর্কে তারা জানতেন না। জল্পনা শোনা যেত যে রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরের অংশে সোনার মুকুট, সোনার চাকা, ফুল, মোহর, লকেট রয়েছে। রুপোর সিংহাসন থেকে শুরু করে বাঘ নখ, হিরে-জহরত বসানো হার, সোনার ময়ূর চন্দ্রিকা রয়েছে। যদিও রত্ন ভাণ্ডারের ভিতর থেকে এই ধরনের কোনও জিনিস উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যায়নি।
এদিকে, মূর্তি আবিষ্কারের খবর জানতে পেরেই সেবাইতরা খুশি। তাদের দাবি, অতীতে ভাণ্ডার মেকাপ বা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা এই মূর্তিগুলির পুজো করতেন।