
নয়াদিল্লি: চার বছর পর ভারত সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দু’দিনের সফরে এদেশে এসেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অবতরণ। শুক্রবার রাতে আবার বিদায়বেলা। হাতে প্রায় ২৬ ঘণ্টা মতো সময়। এই ২৬ ঘণ্টায় কতটা বদলাতে পারে আন্তর্জাতিক রাজনীতির সমীকরণ? নতুন কোনও অভিমুখ দেখা দিতে পারে কি ভারত-রুশ কূটনৈতিক সম্পর্কে?
আপাতত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দিকে প্রত্যাশপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে নয়াদিল্লি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক এখন বিশেষ ভাল নয়। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়াকে ‘হাতে রাখাই’ কূটনৈতিক ফায়দার জায়গা হতে পারে বলে মনে করছেন একাংশ।
সূত্রের খবর, রুশ প্রেসিডেন্টের সফরের মধ্য়ে দিয়ে আগের তুলনায় আরও বেশি অর্থনৈতিক সমন্বয়ে মন দিতে চায় নয়াদিল্লি। শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠীর কর্তারা। দুই দেশের মধ্য়ে বাণিজ্য বৃদ্ধিতেই জোর দিচ্ছে তাঁরা। সম্প্রতি ৫০ শতাংশের মার্কিন শুল্কবাণে দিশেহারা হয়েছে দেশের ব্যবসায়ীরা। সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছে রফতানি। তাই সেই ব্যবসাকে চাঙ্গা করে তুলতে উদ্যত্ত ভারত। দেশের ব্যবসায়ীদের স্বার্থে রাশিয়াকেই বিকল্প বাজার হিসাবে তুলে ধরতে চায় নয়াদিল্লি। পুতিনের সফরের মধ্যে দিয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গে।
মূলত, ফার্মাসিউটিক্যাল, কৃষি, অটোমোবাইলের মতো একাধিক পণ্য রাশিয়ায় রফতানি করার পথ খুঁজছে নয়াদিল্লি। সেই সূত্র ধরে একাধিক সমঝোতা পত্র এবং চুক্তি স্বাক্ষর করতেও তৈরি তাঁরা। এছাড়াও নজর দেওয়া হয়েছে সামরিক চুক্তিতেও। বলে রাখা প্রয়োজন, পুতিনের সফরের আগেই ভারতের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে রুশ পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ স্টেট ডুমা।