AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Modi-Putin Press Meet: ‘নিরবচ্ছিন্নভাবে তেল পাঠাতে প্রস্তুত…’, নয়াদিল্লি থেকেই ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ পুতিনের?

Modi-Putin Joint Press Meet: রুশ তেল নিয়ে নয়াদিল্লির উপর যখন ক্রমাগত চাপ বাড়িয়ে চলেছে আমেরিকা। সেই আবহে এই মন্তব্যকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন একাংশ। অবশ্য প্রশ্ন উঠছে আরও একটি প্রসঙ্গেও। মার্কিন চাপে রুশ তেল আমদানি বন্ধ করেনি বলেই জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। অবশ্য, পুতিনের মন্তব্যে একটা অন্য আঙ্গিক দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

Modi-Putin Press Meet: 'নিরবচ্ছিন্নভাবে তেল পাঠাতে প্রস্তুত...', নয়াদিল্লি থেকেই ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ পুতিনের?
ট্রাম্পকে বার্তা পুতিনের?Image Credit: PTI
| Updated on: Dec 05, 2025 | 4:55 PM
Share

নয়াদিল্লি: তেল নিয়ে যাতনা কম নয়। ২০২২ সাল সবে সবে শুরু হয়েছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। ঠিক যুদ্ধ নয়, তখন আবহ সংঘাতের। সেই সময় মস্কো থেকে নয়াদিল্লির তেল আমদানির পরিমাণ ছিল ২ শতাংশ। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে তা বেড়ে পৌঁছল ৩৫-৪০ শতাংশে। নেপথ্যে কারণ একটাই, রাশিয়ার উপর চাপানো ‘পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞার’ মাঝে ‘লাভের গুড়’ খাওয়ার পথ খুঁজে বের করল নয়াদিল্লি। রাশিয়ার থেকে তেল কিনে বিক্রি শুরু করল ইউরোপে। তবে বেশিদিন নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন মসনদে বসতেই গোটা তেলের ব্যবসা প্রায় ‘বন্ধ’ হওয়ার জোগাড়।

রাশিয়ার থেকে তেল কেনার ‘অপরাধে’ ভারতের উপরে বাড়তি ২৫ শতাংশের শুল্ক চাপাল আমেরিকা। মার পড়ল রফতানি ব্যবসায়। পুতিনের এই দু’দিনের ভারত সফরকে রফতানি ক্ষেত্রে বিকল্প পথ তৈরির মাধ্যম হিসাবেই দেখছিল নয়দিল্লি। বলা যেতে পারে, জলও আপাতত সেই দিকেই গড়িয়েছে।

শুক্রবার হায়দরাবাদ হাউসে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সমস্ত বাধা এড়িয়ে ভারতকে তেল পাঠানোর বার্তাই দিয়েছেন তিনি। রুশ প্রেসিডেন্টের কথায়, ‘জ্বালানি ক্ষেত্রে উভয় দেশই ব্য়বসা করে সন্তুষ্ট। তাই তেল-গ্য়াসের সেই ব্য়বসাকেই আবার আগের মতোই করে তুলতে চাই। আমরা একেবারে নিরবচ্ছিন্নভাবে ভারতকে তেল পাঠাতেও প্রস্তুত রয়েছি।’

রুশ তেল নিয়ে নয়াদিল্লির উপর যখন ক্রমাগত চাপ বাড়িয়ে চলেছে আমেরিকা। সেই আবহে এই মন্তব্যকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন একাংশ। অবশ্য প্রশ্ন উঠছে আরও একটি প্রসঙ্গেও। মার্কিন চাপে রুশ তেল আমদানি বন্ধ করেনি বলেই জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। অবশ্য, পুতিনের মন্তব্যে একটা অন্য আঙ্গিক দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। পুরনো ব্যবস্থাকেই ‘আবার আগের মতো’ করে তোলার বিষয়টা সহজ চোখে দেখছেন না তাঁরা।