
নয়াদিল্লি: যেদিকে চোখ যায়, লেখা ‘ওয়েলকাম পুতিন’। কোথাও সাঁটানো হয়েছে পোস্টার, কোথাও বা শিল্পীরা আঁকছেন ছবি। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে পা রাখবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চার বছর পর ভারত সফরে আসছেন তিনি। তাও আবার দু’দিনের জন্য। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এই সফর ভারত-রাশিয়ার সম্পর্কে আরও গতি আনবে। তবে শুধুই কূটনৈতিক প্রসঙ্গ নয়। মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কটা অনেকটাই আত্মীক। যা জনসমক্ষে ধরা পড়েছে বারংবার।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস। চিনে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। আর গোটা দুনিয়া সম্মেলনের মাঝে দেখেছিল মোদী-পুতিন রসায়ন। সম্মেলন স্থল থেকে রিটজ়-কার্লটন হোটেলে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য একই গাড়িতে সওয়ার হয়ে গিয়েছিলেন মোদী-পুতিন। ঘোষিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে ৪৫ মিনিট গাড়িতেই কথা হয় তাঁদের।
বৃহস্পতিবার পুতিনের আগমনকালে ফের একবার মাথা চাড়া দিয়েছে সেই রসায়ন। ২০০১ সাল মস্কোয় গিয়েছিলেন মোদী। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নয়, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গী হয়ে দূর দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। পুতিনের ভারত-সফরের প্রাক্কালে সমাজমাধ্যমে উঠে এল সেই ছবিগুলি। ২৫ বছর পুরনোর সম্পর্কের নজির দেখলেন নেটিজেনরা।
ভারত-রুশ সামরিক সম্পর্ক আজকের নয়, তবে গত কয়েক বছর বাণিজ্যেও জোর দিয়েছে সংশ্লিষ্ট পক্ষ। বিশেষ করে, ট্রাম্পের শুল্ক নিয়ে যখন বেড়েছে যাতনা। সেই আবহে কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে বাণিজ্যেই বাড়তি জোর দিতে চাইছে দুই পক্ষ। সূত্রের খবর, এই দু’দিনের সফরে বাণিজ্য-বিনিয়োগের পাশাপাশি অসামরিক পরমাণু সহযোগিতার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা হতে পারে।