
নয়াদিল্লি: মাঝে কয়েক মাসের ব্যবধান। ফের একবার মুখোমুখি বৈঠকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবারই সময় মতো নয়াদিল্লিতে পৌঁছে যান ব্রিটেনের এই লেবার পার্টির নেতা। বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। আর সেই বৈঠকেও উঠে এল খলিস্তানি প্রসঙ্গ।
এদিন দেশের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী বলেন, ‘বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী খলিস্তানি প্রসঙ্গেও জোর দিয়েছেন। একটা গণতান্ত্রিক সমাজে এই রকম চরমপন্থীদের কোনও জায়গা নেই বলেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন তিনি। এমনকি, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনী পদ্ধতিতে পদক্ষেপ করতে হবে বলেও বিশ্বাস করে দুই পক্ষ।’ কিন্তু মোদী-স্টার্মারের বৈঠকে কেন জায়গা পেল খলিস্তান? বরাবরই খলিস্তানিদের জন্য ‘সেফ হোম’ হয়ে এসেছে পশ্চিমের দেশগুলি। এমনকি, চলতি বছরের মার্চ মাসে লন্ডনে গিয়ে এই খলিস্তানিদের হামলার মুখে পড়তে হয় দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকেও। চাথাম হাউস থেকে জয়শঙ্কর বের হওয়ার সময়ই তাঁর দিকে তেড়ে যায় বেশ কয়েক খলিস্তান সমর্থক। কোনও বিপদ ঘটেনি। মোতায়েন থাকা পুলিশ কর্মীরা আটকে দেয় তাঁদের। পাল্টা প্রতিবাদে ভারতের পতাকা জ্বালাতে দেখা যায় ওই খলিস্তান সমর্থকদের।
উল্লেখ্য, মোদী-স্টার্মার বৈঠকে ‘পাখির চোখ’ মুক্ত-বাণিজ্য। আর আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে নানা পক্ষ। বলা যেতে পারে, ভারত-ব্রিটেনের মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তি ‘অক্সিজেন’ জোগাবে বিকশিত ভারতের স্বপ্নেও। বিক্রম মিস্রীর কথায়, ‘এই চুক্তি বিকশিত ভারতের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাবে এবং দেশজুড়ে নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করবে বলেই ধারণা।’
অবশ্য এই কথা পক্ষান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারও। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে একটি সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৮ সালের মধ্য়ে ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসাবে তুলে ধরার লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনি যে সঠিক পথেই রয়েছেন, তা এই দেশের আসার পর থেকে আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর আপনার এই যাত্রায় আমরাও সঙ্গী হতে চাই।’