হায়দরাবাদ: তেলঙ্গানায় প্রবেশ করেছে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। কংগ্রেসের এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী। হায়দরাবাদের জনসভা থেকেই বোমা ফাটালেন রাহুল। তিনি অভিযোগ করলেন, “প্রকাশ্যে লড়াইয়ের ভান করলেও গোপনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।”
কেসিআরের নেতৃত্বে বিরোধী জোট তৈরির যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তা উড়িয়ে দিয়ে মঙ্গলবার হায়দরাবাদের জনসভা থেকে রাহুল গান্ধী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে, কিন্তু তিনি বাইরে দেখান যে তাঁরা একে অপরের শত্রু।”
বিগত কয়েক মাস ধরেই ধারাবাহিকভাবে বিজেপিকে আক্রমণ করছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনেরও সওয়াল করেছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে তিনি পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও একাধিকবার ফোনে কথা বলেছেন। সম্প্রতি আরজেডি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। কিন্তু কংগ্রেসের তরফে কেসিআরের এই বিজেপি বিরোধিতাকে ‘অভিনয়’ বলেই অ্যাখ্যা দেওয়া হল।
তেলঙ্গানার শাসক দল টিআরএসের বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন রাহুল। তিনি অভিযোগ করেন, তেলঙ্গানার সাধারণ মানুষের স্বার্থের বিপক্ষেই কাজ করছে মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের দল। রাহুল বলেন, “টিআরএস ও বিজেপি আসলে একই। তাদের কাজও একই। এদের ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয় সাধারণ মানুষের। দেখবেন, সংসদে যেই বিল-ই পেশ করা হোক না কেন, টিআরএস বিজেপিকেই পূর্ণ সমর্থন জানায়।”
তেলঙ্গানৈর উন্নয়ন নিয়েও আক্রমণ করতে ছাড়েননি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। তিনি বলেন, “আমি ভাবতাম দিল্লি সবথেকে দূষিত শহর। কিন্তু জানতে পারলাম যে সবথেকে দূষিত শহর হায়দরাবাদ। টিআরএস সরকার পরিকাঠামো উন্নয়নের গুণমান এতটাই কম রেখে যে দূষণ হচ্ছে। যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলি হওয়ার কথা ছিল, তাও হচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “তেলঙ্গানায় আমার সাতদিনের এই যাত্রায় আমি কৃষক, যুবক সহ রাজ্যের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমি এবং বাকি কংগ্রেস নেতারা সাধারণ মানুষের কথা শুনেছি সারাদিন ধরে। তেলঙ্গানার কৃষকরা জানিয়েছেন, তারা প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করছেন, তবুও কোনও লাভ করতে পারছেন না কারণ সরকারের তরফে কোনও সমর্থন মিলছে না। এই ভারত জোড়ো যাত্রা হল গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ের অস্ত্র।”