Rahul Gandhi: রাহুল-হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের ‘সমন্বয়’ সামনে আনল মোসাদ: রিপোর্ট

Rahul Gandhi: ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস, 'স্পুটনিক ইন্ডিয়া'র একটি প্রতিবেদনকে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে এই তথ্য সামনে এনেছে। প্রতিবেদন বলছে, মোসাদ ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের প্রধান স্যাম পিত্রোদা ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বাড়ির সার্ভারের ওপর আড়ি পেতেছিল।

Rahul Gandhi: রাহুল-হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের সমন্বয় সামনে আনল মোসাদ: রিপোর্ট
Image Credit source: PTI

Apr 25, 2025 | 10:16 PM

নয়া দিল্লি: হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট সামনে আসতেই,  ঘুষ-কাণ্ডে নাম জড়ানোয় শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, “আদানিকে সুরক্ষা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।” আদানির বিরুদ্ধে ভারতকে ‘হাইজ্যাক করা’ এবং ১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করার অভিযোগও তুলেছিলেন তিনি। এবার ইজ়রায়েল ইন্টালিজেন্স এজেন্সি ‘মোসাদ’ সামনে এনেছে বিস্ফোরক তথ্য। ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাহুল গান্ধীর বক্তব্য ও হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের মধ্যে একটি যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। আর সেই ‘সমন্বয়ের প্রমাণ’ সামনে এনেছে মোসাদ।

ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস, ‘স্পুটনিক ইন্ডিয়া’র একটি প্রতিবেদনকে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে এই তথ্য সামনে এনেছে। প্রতিবেদন বলছে, মোসাদ ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের প্রধান স্যাম পিত্রোদা ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বাড়ির সার্ভারের ওপর আড়ি পেতেছিল। তাঁদের কথোপকথনেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আর এই আড়ি পাতার একটাই উদ্দেশ্য ছিল, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের সঙ্গে ভারত সরকার ও আদানি-বিরোধিতায় রাহুলের দাবির ‘সম্পর্ক’কে সামনে আনা।

প্রসঙ্গত ২০২৩ সালে আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ অভিযোগ করে, আদানিরা বিদেশে যে টাকা সরিয়েছেন, তাতে অংশীদারি রয়েছে সেবি প্রধান মাধবী এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচের। তার পরেই ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ আদানিকে রক্ষা করার অভিযোগ তুলে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি-র প্রধান মাধবী পুরীকে তদন্তের আওতায় আনারও দাবি তোলেন কংগ্রেস সাংসদ। সংসদে সে বিষয়ে বিস্তর সুর চড়ান।

এই বিষয়ে তদন্তের দাবি তোলে দেশের বিরোধী দলগুলিও।  রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, আদানির টাকায় বিজেপি চলে। যদিও আদানি গ্রুপের তরফ থেকে প্রথম থেকেই সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করা হয়েছিল।

প্রতিবেদন অনুসারে, মোসাদ যে ‘অপারেশন’ চালিয়েছে, তাতে ‘এনক্রিপ্টেড চ্যাটরুম’ এবং ‘যোগাযোগের অপ্রকাশিত ব্যাক চ্যানেলগুলোকে’ সামনে এনেছে। মোসাদের দাবি, এই অপারেশন আসলে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ টিমের মধ্যে যোগসূত্রকে সামনে আনতেই চালানো হয়েছিল। আসলে তাঁদের টার্গেট ছিল, বিজনেস টাইকুন গৌতম আদানি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করা। এবার এই রিপোর্ট সামনে আসার পর দেশে রাজনৈতিকভাবে তার কী প্রতিক্রিয়া পড়তে চলেছে, সেটার দেখার।