নয়া দিল্লি: দেশকে একসূত্রে বাঁধতে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ গত বছর দেশজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। প্রায় ১৫০ দিন ধরে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর যাত্রা করেছিলেন তিনি। যা কংগ্রেস নেতা-কর্মী-সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষকেও বিশেষভাবে উদ্দীপ্ত করেছিল। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগেও দেশবাসীর কাছে পৌঁছতে ফের ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) শুরু করতে চলেছেন রাহুল গান্ধী। তবে এবার পশ্চিম থেকে পূর্বে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ হবে। এই যাত্রার নামে কিছুটা বদল আনা হয়েছে। কংগ্রেস এই যাত্রার নাম দিয়েছে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। যা লোকসভা নির্বাচনের আগে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এবারে বাংলার মানুষের কাছে এই যাত্রার অন্যতম আকর্ষণ হল, পশ্চিমবঙ্গের ৭টি জেলার মধ্য দিয়ে ৫ দিন ধরে যাত্রা করবেন রাহুল গান্ধী। এটা বাংলার রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগামী ১৪ জানুয়ারি মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু করবেন রাহুল গান্ধী। অরুণাচল প্রদেশ, অসম, পশ্চিমবঙ্গ-সহ মোট ১৫টি রাজ্যের ১১০টি জেলার উপর দিয়ে গিয়ে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে এই যাত্রা শেষ হবে। ৬৭ দিন ধরে মোট ৬৭০০ কিলোমিটার যাত্রা হবে। যার মধ্যে ১০০টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। প্রথমে অরুণাচল প্রদেশ এই যাত্রার অন্তর্ভুক্ত না থাকলেও পরে এটি সংযোজন করা হয়েছে। বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হল, আগামী ২২ জানুয়ারি, রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমের উপর দিয়ে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা করবেন রাহুল গান্ধী। এছাড়া ১১ দিন ধরে উত্তর প্রদেশের ২০টি জেলার মধ্য দিয়ে ১০৭৪ কিলোমিটার যাত্রা হবে।
অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোটের আসন-রফা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে, এই আবহে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা করতে চলেছেন রাহুল গান্ধী। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ- দুটি ভাগে মোট ৭টি জেলার উপর দিয়ে ৫২৩ কিলোমিটার পথ হাঁটবেন রাহুল। যা বাংলার রাজনীতিতে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। বাংলায় ৫ দিনের এই যাত্রায় যোগ দেওয়ার জন্য ইন্ডিয়া জোটের শরিক হিসেবে তৃণমূল এবং বামেদেরও আহ্বান জানাচ্ছে কংগ্রেস। কিন্তু, আসন সমঝোতা না হলে লোকসভার লড়াইয়ের আবহে রাহুলের যাত্রায় কি যোগ দেবে তৃণমূল? এমনই প্রশ্ন উঠছে। একই প্রশ্ন প্রযোজ্য বামেদের ক্ষেত্রেও। যদিও তৃণমূল বা বামেদের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে কেবল বাংলায় বাম, তৃণমূল নয়, ইন্ডিয়া জোটের সব রাজনৈতিক দলকে কংগ্রেসের তরফে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।