দেরাদুন: যাত্রা শুরুর আগে থেকেই জনপ্রিয়তার শিখরে উঠেছিল সেমি হাইস্পিড বিশিষ্ট বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। গতি থেকে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য- সবকিছুতেই টেক্কা দিচ্ছিল দেশের অন্যতম সেরা চেয়ার কার ট্রেনগুলিকে। খামতি ছিল কেবল একটাই- বন্দে ভারত এক্সপ্রেস কেবল চেয়ার কার (Chair car), স্লিপার (Sleeper) অর্থাৎ শোওয়ার ব্যবস্থা নেই। ফলে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বেশি থাকা সত্ত্বেও শতাব্দী, রাজধানীর সমতুল্য হতে পারছিল না বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তবে এবার সেই খামতি পূরণ হতে চলেছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেও এবার হতে চলেছে স্লিপার ক্লাস। ইতিমধ্যে বন্দে ভারতের অত্যাধুনিক স্লিপার কোচ তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী বছরের গোড়াতেই স্লিপার বন্দে ভারত চলে আসবে। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব স্বয়ং (Ashwini Vaishnaw)।
এদিন এক সাক্ষাৎকারে রেলমন্ত্রী জানান, ৩ ধরনের বন্দে ভারত ট্রেন হতে চলেছে- বন্দে চেয়ার কার, বন্দে মেট্রো এবং বন্দে স্লিপার্স। দূরত্ব ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের ভিত্তিতেই বন্দে ভারতের এই প্রকারভেদ। ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে অর্থাৎ লোকাল ট্রেনের জায়গায় বন্দে ভারত মেট্রো, ১০০- ৫৫০ কিলোমিটার দূরত্বে বন্দে ভারত চেয়ারকার এবং ৫৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের মধ্যে যাত্রা করবে বন্দে ভারত স্লিপার্স ট্রেন। স্লিপার্স কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এই ট্রেনে যাত্রীদের শোওয়ার বন্দোবস্ত থাকবে। ইতিমধ্যে চেন্নাইয়ে ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরিতে স্লিপার কোচ তৈরি শুরু হয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যেইএই তিন ধরনের বন্দে ভারত ট্র্যাকে নামবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, জুনের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে প্রতিটি রাজ্যে একটি করে বন্দে ভারত পাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিন এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও জানান, আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যেই রেললাইনের উন্নীতকরণ করা হবে, যাতে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে বন্দে ভারত ট্রেন চালানো সম্ভব হয়। বন্দে ভারত মেট্রো এলে যেমন দেশের পরিবহণ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটবে, তেমনই বন্দে ভারত স্লিপার্স রাজধানী, শতাব্দীর স্থান নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।